বিশ্বের প্রাচীনতম এই বৈদ্যুতিক বাল্বটি ১২২ বছর ধরে একটানা জ্বলছে, যা কখনও নষ্ট হয়নি!

কাজের ভিত্তিতে, এডিসন আলোর বাল্বের একটি পরিবর্তিত রূপ তৈরি করেন, বাল্বটি চালু করেন এবং এটি পেটেন্ট করেন। ফলস্বরূপ, আজ বাজারে অনেক ধরনের বাল্ব পাওয়া যায়।

 

deblina dey | Published : Jan 2, 2024 3:26 AM IST

The world's oldest electric bulb: এটা খুবই বিরল ঘটনা যে একটা বাল্ব একটানা দুই বা তিন বছর ধরে জ্বলছে। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে এমন একটি বাল্ব সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা এক বা দুই বছর ধরে নয়, প্রায় ১২২ বছর ধরে জ্বলছে। বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেন টমাস আলভা এডিসন। আসলে, এডিসনের অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বৈদ্যুতিক বাতির সন্ধান শুরু করেছিলেন। এই সমস্ত কাজের ভিত্তিতে, এডিসন আলোর বাল্বের একটি পরিবর্তিত রূপ তৈরি করেন, বাল্বটি চালু করেন এবং এটি পেটেন্ট করেন। ফলস্বরূপ, আজ বাজারে অনেক ধরনের বাল্ব পাওয়া যায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোর শহরের ফায়ার স্টেশনে একটি বাল্ব লাগানো আছে, যেটি ১৯০১ সালে প্রথমবারের মতো জ্বালানো হয়েছিল এবং তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এই বাল্বটি জ্বলছে। এই আশ্চর্য বাল্বটি শতবর্ষ নামে পরিচিত। এই বাল্বটি তৈরি করেছে শেলবি ইলেকট্রনিক কোম্পানি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালে পরিবর্তনের জন্য এই বাল্বটি প্রথমবারের মতো বন্ধ করা হয়েছিল। তারের পরিবর্তনের পর আবার বাল্বটি জ্বলে উঠল। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও এই বাল্বের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই বাল্ব পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে।

শতবর্ষী বাল্ব ২৪ ঘন্টা জ্বলতে চার ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। ২০০১ সালে, শতবর্ষী বাল্বের ১০০ তম জন্মদিন অনেক আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়েছিল। যেখানে একটি মিউজিক পার্টিরও আয়োজন করা হয়। এই আশ্চর্যজনক বাল্বটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ফায়ার স্টেশনে আসেন। মাঝে মাঝে এত ভিড় হয়ে যায় যে মনে হয় ফায়ার স্টেশনটা একটা মিউজিয়াম। 

একবার ২০১৩ সালে, এই বাল্বটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লোকেরা ভেবেছিল যে সম্ভবত বাল্বটি ফিউজ করা হয়েছে, তবে তদন্তের পরে দেখা গেছে যে তারে ত্রুটি রয়েছে। তবে, তারটি আবার প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল এবং বাল্বটি আবার জ্বলতে শুরু করেছিল। সেই থেকে আজও জ্বলে চলেছে শতাব্দি প্রাচীণ এই ঐতিহাসিক বাল্বটি।

Share this article
click me!