আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্যে আড়ি পাতছে চীন। এমন সম্ভাবনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চীনা সমস্ত টেলিকম সংস্থার উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো মার্কিন প্রশাসন।
এ যেন এক অন্য পেগাসাস থিওরি। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্যে আড়ি পাতছে চীন। এমন সম্ভাবনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চীনা সমস্ত টেলিকম সংস্থার উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো মার্কিন প্রশাসন। এর আগে আমেরিকা তাদের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা সরল করার জন্য চীন থেকে বেশ কিছু টেলি যোগাযোগ সরঞ্জাম আমদানি করতেন। কিন্তু এখন সেই আমদানিতেও জারি নিষিদ্ধ পরোয়ানা।
এফসিসির কমিশনার ব্যান্ডন কর শুক্রবার বলেন, ‘‘এফসিসির পাঁচ সদস্যের অনুমোদন বিষয়ক কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ আমেরিকার কংগ্রেসের সদস্যদের তরফেও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ইতিবাচক বার্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের একাংশ আগেই অভিযোগ তুলেছিল যে ৫-জি মোবাইল পরিষেবায় চিনা সরঞ্জামের ব্যবহারের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এবার সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য প্রমান হাতে পাওয়ায় নড়ে চড়ে বসে মার্কিন প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা জারি হয় হুয়াইয়ে এবং জেডটিই ছাড়াও হাইতেরা কমিউনিকেশনস, হাংঝু হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি এবং দাহুয়া টেকনোলজি ইত্যাদি কোম্পানিগুলোর উপর। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এর আগে ভারতও হুয়াইয়ের মাধ্যমে চীন গুপ্তচরবৃত্তি করছে এমন অভিযোগ এনেছিল চীনের উপর। ভারত ছাড়া অন্য বেশ কয়েকটি দেশও সেই এক অভিযোগ তুলেছিল চীনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তখন আমেরিকা ছিল নির্বিকার। এবার মার্কিন নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন উঠতেই তড়িঘড়ি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিলেন বাইডেন।
২০২০ সালে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলিকে চিনা টেলিকম সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। বেসরকারি টেলি যোগাযোগ সংস্থাগুলিকেও এ বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল। নিরাপত্তা গত কারণেই এই বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছিল তখন সরকারের তরফ থেকে। এরফলে ভারতে চীনা গুপ্তচরবৃত্তি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিলো বলে দাবি করেন মোদী।কোরোনার পর চীনকে একঘরে করে দেবার কথা বলেছিলো অনেক দেশ তারপরও চীন যেভাবে এইসমস্ত কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে তাতে কি কোথাও চীনের কোনঠাসা হবার স্বভাবনা প্রবল ভবিষ্যতে ? উত্তর দেবে সময়।