করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি পারবে চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে

  • করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধান
  • মার্কিন তৎপরতা শুরু হয়েছে  
  • রয়েছে একাধিক তথ্য প্রামণও 
  • বাইডনকে একটি কার্যকরী প্রতিক্রিয়া দিতে তৈরি 
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 8, 2021 12:13 PM IST / Updated: Jun 08 2021, 05:48 PM IST

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এখনও পর্ন্ত ১৭৩ মিলিয়ন মানুষের আক্রান্ত আর ৩.৭ মিলিয়নের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে জীবাণু। স্তব্ধ হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডরাল। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের উৎসের কোনও সঠিক তথ্য হাতে নেই বিশ্ববাসীর। কিন্তু একাধিক তথ্য রয়েছে যার মাধ্যমে সরাসারি আঙুল তোলা যায় চিনের বিরুদ্ধে। হাডসন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ভাইরাস প্রেসিডেন্ট লিইস লিবি ও প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইকেল পম্পেয়ের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন  এমন কতগুলি প্রমাণ রয়েছে যা বলে দেয় ২০১৯ এর শেষ থেকে ২০২০ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত করোনাভইরাস সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বেজিং। 

করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ২৬ মে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী ও গোয়েন্দাদের বলছেন ৯০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। যদিও তিনি নিশ্চিত যে ভাইরাসটির আসল উৎস কখনই আবিষ্কার করা যাবে না এত তাড়াতাড়ি, তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানতে চেয়েছেন এটি কোনও প্রাণীর শরীর থেকে ছড়িয়ে না পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। জো বাইডেন করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে বর্তমান বিতর্কে একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।  হাডসন ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। 


হাডসন ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী চিন প্রথম থেকেই এই রোগের যাবতীয় তথ্য আড়াল করার জন্য সক্রিয় একটি প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই বেড়েছে করোনার প্রভাব। তীব্রতর হয়েছে রোদের প্রাদুর্ভাব। সংক্রমণ রুখতে চিন প্রথমেই আন্তঃদেশীয় সফর বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে তেমন কোনও পদক্ষেপ প্রথম দিকে গ্রহণ করেনি। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে জারি করেনি কোনও নিষেধাজ্ঞা। অনেক ভ্রমণকারীকে সংক্রমিত এলাকায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তাতেই বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অস্বাস্থ্যকর ওয়েটমার্কেট থেকে শুরু করে উহানের ভাইরোলডি ইনস্টিটিউটের সন্দেহজনক আচরণ এমনকি জীবন্ত প্রাণির আবাদ বিক্রি- সবকিছুই স্পষ্ট করে দেয় যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকে চিন তেমন সক্রিয় ছিল না। কিছুটা বেপরোয়া ছিল বলা যেতেই পারে।

আবারও পার্কস্ট্রিটের বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী ও ল্যাডার ...

অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অস্ট্রেলিয়া যখন মহামারির উৎস সন্ধানে  স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল তখন চিন শুধু বাধা দিয়েই খান্ত হয়নি। অস্ট্রেলিয়াকে চিনের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বাইডেন এখন এই মহামারির উৎস জানতে চাইছেন, তাতে চিন কী ভূমিকা নেবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও গণতন্ত্রের পক্ষে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও দাবি করা হয়েছে। কারণ তদন্তে সহযোগিতা করার আর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার মত উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক শক্তি ও প্রভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। এক্ষেত্রে চিন যদি দোষী প্রমাণিত হয় তবে দেশটিকে একটি নির্দিষ্ট জরিমানাও দিতে হতে পারে। 

তাঁকেও রীতিমত ঠকিয়েছে মেহুল চোকসি, মুখ খুললেন সেই রহস্যময়ী নারী ...

কোভিড টিকা অপচয় রুখতে বিশেষ জোর, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণার পর সংশোধিত নির্দেশিকা কেন্দ্রের ...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই লড়াইয়ে জয়ের জন্য গণতন্ত্রের সমর্থন প্রয়োজন। চিনকে যদি দোষী প্রমাণিত করা যায় তাহলে অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু করা যাতে পারে। পাশাপাশি সর্বোত্তম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিনকে কালো তালিকাভুক্ত করাও যেতে পারে। চিন যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিনকে জবাবদিহি করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতি। যার প্রভাব আগামী কয়েক দশক থাকবে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

Share this article
click me!