সংক্ষিপ্ত

  • মেহুল চোকসির বিদেশী বান্ধবী মুখখুললেন 
  • মেহুল অপরহণকাণ্ডে কোনও হাত নেই 
  • জাল হীরের আংটি আর ব্রেসলেট দিয়েছিল মেহুল 
  • মেহুলকাণ্ডে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন 

অবশেষে মুখ খুললেন পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসির 'রহস্যময়ী বান্ধবী'। সর্বভারতীয় একটি নিউজ চ্যালেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  বান্ধবী বারবারা জাবারিকা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মেহুল চোকসি অপরহণকাণ্ডে তাঁর ও তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের হাত নেই। তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোশ বলেও দাবি করেছেন। তবে মেহুল যে তাঁর পূর্ব পরিচিত তা অবশ্য এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন বারবারা জাবারিকা। 

বারবারা জাবারিকা জানিয়েছেন তিনি মেহুল চোকসির বন্ধু। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই একে অপরকে চেনেন। তবে মেহুল জাবারিকার কাছে নিজের আসল নাম লুকিয়ে গিয়েছিল। রাজ নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিল। গতবছরই তাঁর কাছে মেহুল গিয়েছিল। হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি জাবারিকাকেও নাকি একটি হীরের আংটি আর ব্রেসলেট দিয়েছিল। যদিও পরে জাবারিকা জানতে পারেন সেগুলি ছিল নকল। মেহুল অপহরণকাণ্ডে তিনি ও তাঁর পরিবার যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বারবারা জাবারিকা। 

কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিনের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর, জানাল নতুন গবেষণা ...

গতকাল মেহুল চোকসি আদালতে একটি পাঁচ পাতার নোট পেশ করেছিল। মেহুল চোকসি তার পাঁচ পাতার অভিযোগে বলেছে সে রহস্যময়ী মহিলার পূর্বপরিচিত। বারবার জাবরিকাকে গত এক বছর ধরেই চেনেন। তিনি মূলত জলি হারবার শহরে তাঁর আবাসিক কমপ্লেক্সের বিপরীতে বাস করতেন। তবে পরবর্তীকালে কোকো বে হোটলে স্থানান্তরিত হন। মেহুল চোকসি আরও জানিয়েছে ওই মহিলার সঙ্গে তার কর্মচারীদের রীতিমত সখ্যতা ছিল।  রহস্যময়ী সেই মহিলার সঙ্গে চোকসি নাকি প্রায়ই হাঁটতে যেত।  

দূষণমুক্ত আধুনিক রেলপথ তৈরিতে জোর, একাধিক পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের ...

তবে এখানেই শেষ নয়। মেহুল চোকসি জানিয়েছে ২০২১ সেই রহস্যময়ী মহিলা নাকি তাকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে  (পিক আপ) যাওয়ার। মহিলার আবেদনে সাড়া দিয়েই চোকসি বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে মহিলার বাড়িতে গিয়েছিল। চোকসিকে দেখে মহিলা তাঁর গ্লাসের ওয়াইটা শেষ করবেন বলে একটু অপেক্ষ করতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ই নাকি ঘটে যায় বিপত্তি। তারপরই চোকসিকে ৮-১০ জন শক্তিশালী পুরুষ অপহরণ করে। চোকসিরে এই দাবির সঙ্গে মিলে যায় অ্যান্টিগুয়া পুলিশের অভিযোগ। পুলিশের আর চোকসির অভিযোগ অনুযায়ী অপহরণকরারীরা তাকে রীতিমত মারধর কর। তার সেলফোন, রোলেক্স ঘড়ি আর টাকার ব্যাগও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। অপহরণকারীরা এমন কিছু ব্যবহার করেছিল যাতে চোকসির হাত পা মুখ জ্বালা করেছিল। চোকসি আরও বলেন তাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি বান্ধবী জাবারিকা। চোকসির আরও অভিযোগ, অপরহণের পুরো ছক তৈরি করেছিল মহিলা। কারণ পরবর্তীকালে মহিলা তাকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়নি।

লাদাখ সেক্টরে ভারত চিন সংঘর্ষ, চিনা আগ্রাসন ছিল মারাত্মক একটি ভুল সিদ্ধান্ত ...  

পাঁচ পাতার অভিযোগে চোকসি জানিয়েছে কী করে একটি ছোট্ট নৌকায় করে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি আরও বলেছে, একটি ছোট নৌকা থেকে তারা কীভাবে একটি বড় নৌকায় উঠেছিল। সেখানে চোকসি ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল বলেও জানিয়েছে। নৌকায় ২জন ভারতীয় আর তিন জন ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত মানুষকে দেখেছিল। ভরতীয়রা জানিয়েছিল তারা এক বছর ধরে তার ওপর নজর রেখেছে। তার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কেও নানা খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছিল। সহযোগিতা না করলে একাধিক হুমকি দেওয়া হয়েছিল। জাবারিকার সঙ্গে তাকে দূরে কোথাও ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল ভারতীয়রা। স্ত্রীকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। অপরহণকারীরা ভারতের একজন শীর্ষ রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে চোকসির। ডোমিনাকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা। দাবি করেছে মেহুল চোকসি।