নিজেদের রূপ দেখাতে শুরু করেছে তালিবানরা। এবার তাদের ঘোষণা কাশ্মীরের মুসলিমদের অধিকার রক্ষা করা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
এবার কি লক্ষ্য কাশ্মীর? তালিবানদের সাম্প্রতিক ঘোষণা তো তেমনই ইঙ্গিত করছে। তালিবানদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সক্রিয় হয়ে উঠেছে কাশ্মীর উপত্যকায় নতুন করে অশান্তি তৈরির জন্য। তবে এতদিন মাথা না ঘামানোর ভান করলেও, নিজেদের রূপ দেখাতে শুরু করেছে তালিবানরা (Taliban)। এবার তাদের ঘোষণা কাশ্মীরের (Kashmir) মুসলিমদের অধিকার রক্ষা (voice for Muslims) করা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
আফগানিস্তানে শাসন প্রতিষ্ঠার পর তালিবানরা এখন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে অন্যান্য দেশে। তালিবান চায় তাদের শক্তি আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত হোক। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য সুর বাজতে শুরু করেছে। তালেবানরা আবারও ভারতের কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন কাশ্মীর সম্পর্কে বলেছেন ভারতের কাশ্মীরে মুসলমানদের পক্ষে কথা বলার অধিকার তাদের আছে।
শুক্রবার তালিবানদের দোহা অফিসের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেন, কোনও দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান করা তালিবানদের স্ট্র্যাটেজি নয়। কিন্তু মুসলমান হিসেবে তাদের অধিকার আছে কাশ্মীর বা ভারতের মতো অন্য কোনো দেশের মুসলমানদের পক্ষে কথা বলার।
Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা
শুক্রবারের নমাজে এবার থেকে তালিবানদের গুরুত্ব বোঝাবেন ইমামরা, জারি ফতোয়া
এর আগে, তালিবানরা বেশ কয়েকবার জানিয়ে ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের মধ্যে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না তারা। কাশ্মীরও তাদের স্ট্র্যাটেজির মধ্যে পড়ে না। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদী সরকার। তখন থেকে প্রতিবেশী পাকিস্তান বিশ্বের সামনে কাশ্মীরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। তবে লাভ বিশেষ হয়নি।
এবার এই ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানরা হাত মেলালে যে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। দিন কয়েক আগেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি হুঙ্কার দিয়েছিল কাশ্মীর দখল তারা করেই ছাড়বে। তালিবানদের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীর দখল করবে। সেই একই সুর শোনা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক নেতার গলাতেও। ফলে কাশ্মীর জুড়ে হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে, ইতিমধ্যেই পাঁচ জইশ জঙ্গি উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কাশ্মীরে নাশকতা চালাতে পারে তারা। ওই পাঁচ অনুপ্রবেশকারী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনদ্রোত এলাকা থেকে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় রেইকিও করেছে তারা। ভারতীয় সেনার ওপর সম্ভাব্য হামলা হতে পারে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।