সংক্ষিপ্ত

প্রতি শুক্রবারের নমাজের পর জমায়েতকে বোঝাতে হবে তালিবানদের মাহাত্ম্য। কেন আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রয়োজন, তা বোঝানোর দায়িত্ব ইমামদের।

তালিবানদের (Taliban) সম্পর্কে এবার থেকে প্রচার করতে হবে মসজিদের ইমামদের (Afghan imams)। প্রতি শুক্রবারের নমাজের (Friday prayers) পর জমায়েতকে বোঝাতে হবে তালিবানদের মাহাত্ম্য। কেন আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রয়োজন, তা বোঝানোর দায়িত্ব ইমামদের। এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছে তালিবানদের তরফ থেকে। 

ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের কাছে তালিবানদের অনুরোধ তারা যেন জুম্মার নমাজের সময় তালিবানদের বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেন। কারণ আফগানিস্তানে এখন তালিবানদের আনুগত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।  

'গান্ধীজির ভারতে এমন ব্যবহার আশা করেননি' দিল্লি নামতেই তাড়ানো হল আফগান মহিলাকে

দুর্গাপুজোর সময় জ্বালাবে না লোডশেডিং, কী ব্যবস্থা করছে রাজ্য, জানালেন অরূপ বিশ্বাস

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

গত সপ্তাহে, রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে ইমামদের আফগান ভূমে চলা সাম্প্রতিক টানাপোড়েন নিয়ে সদর্থক বার্তা দেবেন। তাঁদের বার্তা যেন তালিবানদের বিরুদ্ধে না যায়। তালিবানদের দাবি ইমামদের কাজের মধ্যে তাদের মাহাত্ম্য বর্ণনা পড়ে। 

এই বার্তা আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানি হওয়ায়। এই বিস্ফোরণে যাতে তালিবানদের ওপর দায় না দেওয়া হয় তার জন্যই এমন বার্তা তাদের বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, তালিবানরা জানাচ্ছে ইমামদের তাদের কাজকে সমর্থন করা উচিত। কারণ তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে নেগেটিভ প্রচার বেশি হচ্ছে, যা তাদের নাপসন্দ। 

এদিকে, আফগানিস্তানে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যখন কঠোর শাসন ছিল তালিবানদের, তখন মহিলাদের কাজ করা, টিভি দেখা ও গান শোনা নিষিদ্ধ ছিল। আবার কি সেই জমানা ফিরে আসতে চলেছে, প্রশ্ন করছে গোটা বিশ্ব। কারণ ইতিমধ্যেই সেখানে মহিলাদের পর্দানসীন করে দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত যখন তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল রেখেছিল, তখন শিশুকন্যাদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শরিয়া আইন চালু ছিল গোটা দেশ জুড়ে। ব্যভিচারীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হত ও চোরেদের অঙ্গ কেটে ফেলা হত।