শুক্রবারের নাজাজের পর নতুন সরকার গঠন নিয়ে ঘোষণা করতে পারে তালিবানরা। আর্থিক সংকটে বোঝায় মাথায় নিয়ে শাসনভার গ্রহণ করছে তারা।
কাবুল দখলের পর কেটে গেছে দু'সপ্তাহের বেশি সময়। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠন করেনি তালিবানরা। আফগানিস্তানের মসনদ রয়েছে ফাঁকা। বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালিবান নেতা জানিয়েছেন, আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার জম্মার পবিত্র নামাজের পরেই তালিবানরা সরকার গঠন করবে। সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু ঘোষণা করা হবে। সরকার গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে কান্দাহারে। তালিবান নেতাদের পাশাপাশি তালিবানদের সহযোগী হাক্কানিসহ একাধিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর তালিবান সুপ্রিম হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে মাথায় রেখেই সরকার গঠন করতে চলছে তালিবানরা।
তালিবানদের একটি সূত্র বলছে, হিবাতুল্লাহই সরকারের মাথা হবে। তবে সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখবেন মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর। আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকতে পারে হাক্কানি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে হাক্কানিদের হাতেই রয়েছে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব। দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসানের পর তালিবানরা সরকার গঠন করলেও তাদের পথ কিন্তু খুব একটা সুগম নয়। চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে গোটা আফগানিস্তান। সংকট রয়েছে খাবার আর ওষুধেরও। তারপর ওপর রয়েছে তালিবান শসনের ভীতি। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরেই বহু আফগানই দেশ ছেড়ে চলেগেছে। অনেকে আবার চলে যাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। আতঙ্ক রয়েছে মহিলাদের মনেও। স্কুল খোলা থাকলেও ছাত্রীর সংখ্যা কমছে। যদিও তালিবানরা প্রথমেই জানিয়েছিল তারা আগের মত নয়। অনেকটাই অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্বিতীয়বার শাসনভার গ্রহণ করছে। তবুও তালিবান সরকারের ওপর যে গোটা বিশ্বের নজর থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রেখে না।
ভারতীয় মুসলমানদের কড়া সমালোচনা নাসিরুদ্দিনের, তালিবান ইস্যুতে সতর্ক করলেন অভিনেতা
বালিকা বধূর ওপর একোন অভিশাপ, চার বছরের ব্যবধানে প্রয়াত সিরিয়ালের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা
বর্তমানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন আফগানিস্তানের। তবে আফগান ব্যাঙ্কে থাকা ১০ বিলিয়ন সম্পদ হাতে পেতে পারে তালিবানরা। তালিবান নিযুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান ব্যাঙ্কগুলিকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন তালিবানরা একটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী আর্থিক ব্যবস্থা চায়। তবে কীভাবে নগদ অর্থের প্রয়োজন মেটানো হবে তা নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য কেরেননি তিনি। একটি সংস্থা বলছে আফগানিস্তানের দেশজ উৎপাদন চলতি বছরে ৯.৭শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগই একমাত্র আফগান অর্থনীতিকে বাঁচাতে পারে। চিন ও রাশিয়া তালিবানদের সহযোগিতা করতে পারে বলেও একটি গোষ্ঠী আশা প্রকাশ করেছে।
সৈয়দ গিলানির মৃত্যু, আরও একবার খুলে দিল পাকিস্তানের কপটতার মুখোশ
তালিবানরা জানিয়েছিল যেসব বিদেশি বা আফগানরা দেশ ছেড়ে যেতে চাইবে তাদের চলে যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বব্ধ কাবুল বিমান বন্দর। এই বিমান বন্দরই একবার আকাশ পথে আফগানিস্তারে বাইরে যাওয়ার পথ। যদিও কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, তালিবানদের সঙ্গে কথা চলছে। তুরষ্ক-কাবুলের মধ্যে পুনরায় বিমান সংযোগ চালু করা হবে। দোহায় কাতারের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন আফগানিত ত্যাগ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কী করে উদ্ধার করা হবে তা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও তাঁরা আলোচনা করবেন।