জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পরেই পাকিস্তানকে বিশেষ বার্তা ইউএই-এর তরফে। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনে উদ্বোধন হয়েছে ইন্ডিয়া-মিডিল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডোরের।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পরেই পাকিস্তানকে বিশেষ বার্তা ইউএই-এর তরফে। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনে উদ্বোধন হয়েছে ইন্ডিয়া-মিডিল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডোরের। এবার ইউএই-এর উপ প্রধানমন্ত্রী সাইফ বিন জায়েদ আল নাহান এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে স্পষ্টভাবেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একটি অংশকে ইন্ডিয়া-মিডিল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডোরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক পরেই এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এই টুইট একটি অত্যত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহম্মদ বিন সালমান ভারত এবং সৌদি আরব কৌশলগত অংশীদারি পরিষদের (SPC) প্রথম বৈঠকে অংশ নেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করেন। এর আগে, ২০১৯ সালেও মোদীর আরব সফরের সময় একটি বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। মহম্মদ বিন সালমান এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Modi) মধ্যে আলোচনা করা বিস্তৃত বিষয়গুলো দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুটি দেশ একসাথে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটালাইজেশন এবং ইলেকট্রনিক উৎপাদন, ব্যাংকিং পরিষেবা এবং বিনিয়োগ সহ আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এছাড়াও, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাতে ভারত ও সৌদি আরবের বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেসরকারী খাতের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।