চিনের তিন মহাকাশচারী ছ মাস মহাকাশে থাকার পর সোমবার ফিরে এলো দেশে। চিনের উত্তরের মরুভূমিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আনন্দ উচ্ছাসে ভেসে গেলো তিয়াংগং স্পেস সেন্টার।
মহাকাশ গবেষণায় এবার নাসাকে টক্কর দিচ্ছে চিন। করোনা অতিমারীর মধ্যেও চিনের মহাকাশ গবেষণা এক মুহূর্তের জন্যেও বন্ধ হতে দেয়নি জিং পিং সরকার। চীনের সার্বিক পরিস্থিতি বদলে গেলেও তিয়াংগং স্পেস স্টেশনের চিত্রটা বরাবরই ছিল এক। এবার তা আলাদাভাবে নজর কাড়লো বিশ্বের। চিনের তিন মহাকাশচারী ছ মাস মহাকাশে থাকার পর সোমবার ফিরে এলো দেশে। চিনের উত্তরের মরুভূমিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আনন্দ উচ্ছাসে ভেসে গেলো তিয়াংগং স্পেস সেন্টার। নতুন মাইল ফলক ছোয়ার আনন্দে এখন ভাসছে সমগ্র চিন।
চিনের মহাকাশ্চারী লিউ ইয়াং, চেন ডং ও কাই জুরা ছ মাসের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে। এই মিশনের নাম দিয়েছিলেন তারা শেনজু ১৫। প্রথমে ৬ জন মহাকাশচারী যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মোট ৩ জনই পাড়ি দেয় মহাকাশে।সোমবার এই অভিনব সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় ফের নতুন কিছু নজির গড়ার লক্ষ্যে চিন।
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তর চিনের গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করে ওই মহাকাশ্চারীদের ক্যাপসুল। স্থানীয় সময় ৮.১০ মিনিট নাগাদ ওই ক্যাপসুল অবতরণ করে নর্দান মরুভূমিতে। জানা গেছে শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক থেকে নয় আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক থেকেও এই অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্য্যপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো দেশ যেখানে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নিজেদের দেশকে ক্রমশই পোক্ত করেছে, সেখানে চিনই বা পিছিয়ে থাকবে কেন ? শক্তিধর দেশের তালিকায় তাদের নামও তো শীর্ষে তাই এবার মহাকাশ গবেষণার দিকে ঝুঁকছে চিন।