চিন J-36 এবং J-50 এর মতো নতুন যুদ্ধবিমান প্রদর্শন করেছে। এগুলিতে তিনটি ইঞ্জিন, লেজবিহীন নকশা এবং বড় ককপিটের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বিমানগুলি কি আমেরিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে?
চিনের চেংদু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন J-36 নামের বিমানটি তৈরি করেছে। এতে এক বা দুটির পরিবর্তে তিনটি ইঞ্জিন রয়েছে। এছাড়াও বিমানটিতে কোনও লেজ নেই। এর সাথে J-50 নামের একটি নতুন যুদ্ধবিমানের প্রোটোটাইপও দেখানো হয়েছে। এটি শেনইয়াং এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এতে V-আকৃতির ডানা এবং দুটি ইঞ্জিন রয়েছে।
27
নতুন যুদ্ধবিমানের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি
তিন ইঞ্জিন সেটআপ: সাধারণত যুদ্ধবিমানে এক বা দুটি ইঞ্জিন থাকে। চিন এমন বিমান তৈরি করছে যাতে তিনটি ইঞ্জিন রয়েছে। এতে বিমানের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এটি আরও অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে, বিমানটি আরও বেশি জ্বালানি খরচ করবে। তিন ইঞ্জিন সেটআপ অত্যন্ত জটিল।
37
স্টিলথ ডিজাইন
চিন এমন যুদ্ধবিমান তৈরি করছে যার লেজ নেই। এতে বিমানের রাডার ক্রস-সেকশন কম হয়। এটি রাডারের কবলে পড়া থেকে রক্ষা পায়। অন্যদিকে, লেজ না থাকায় বিমানের তৎপরতা কমে যায়।
চিনের নতুন যুদ্ধবিমানের ককপিট এত বড় যে দুজন পাইলট বসতে পারবেন। একজন পাইলট সম্ভবত ড্রোন নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবেন।
57
আমেরিকাকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন যুদ্ধবিমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমেরিকার সাথে পাল্লা দিতে চাইছে। চিন এগুলিকে আকাশে উড়িয়ে বিশ্বকে, বিশেষ করে আমেরিকাকে বার্তা দিচ্ছে।
67
চিনের ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ
চিনের ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলি এখনও প্রকল্প এবং পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এগুলির সামনে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা, সফ্টওয়্যার বিকাশ এবং একাধিক সিস্টেমকে একত্রিত করার মতো বাধা রয়েছে।
77
শক্তিশালী ইঞ্জিনের অভাব পূরণ করবে ৩টি ইঞ্জিন
স্টিমসন সেন্টারের সিনিয়র ফেলো কেলি গ্রিকোর মতে ৩ টি ইঞ্জিনের ব্যবহার একটি শক্তিশালী ইঞ্জিনের অভাব পূরণ করতে পারে। চীনের WS-15 ইঞ্জিন এখনও উন্নয়নাধীন।