ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েনকে আরও একটু উস্কে দিয়ে মৃত্যু হল এক খলিস্তানপন্থী গ্যাংস্টারের।
ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েনকে আরও একটু উস্কে দিয়ে মৃত্যু হল এক খালিস্তানপন্থী গ্যাংস্টারের। জানা যাচ্ছে গ্যাংওয়ারের ফলে মৃত্যু হয়েছে এই খালিস্তানি গ্যাংস্টারের। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের ফলেই মারা গিয়েছেন গ্যাংস্টার সুখদুল সিংহ ওরফে সুখা ডুনেকা। উল্লেখ্য নিহত গ্যাংস্টার সুখদুল সিংহ ওরফে সুখা ডুনেকা ছিল খলিস্তানি জঙ্গি আর্শদীপ সিংহ ওরফে আর্শ ডালার ঘনিষ্ঠ। এই আর্শদীপকে বহুদিন ধরেই হাতে পেতে মরিয়া ভারত।
২০১৭ সালে ভুয়ো নথি দেখিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দেশ ছেড়েছিলেন আদতে পঞ্জাবের বাসিন্দা সুখদুল। তাঁর বিরুদ্ধে নথিবদ্ধ ছিল সাতটি অপরাধের মামলা। সুখদুলকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে পঞ্জাবের মোগা অঞ্চলের দুই পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৩ সালে কানাডার উইনিপেগ শহরে মৃত্যু হল গ্যাংস্টার সুখদুলের।
ইতিমধ্যেই সুখদুল-হত্যার দায় স্বীকার করেছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বিষ্ণঘ গ্যাংয়ের তরফে একটি ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে। এই পোস্টে লেখা রয়েছে, 'পাপের শাস্তি' পেয়েছেন সুখদুল। এর আগে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় কানাডা সরকার অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে ভূমিকা ছিল ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার। সোমবারই অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতির পরই আরও জটিল হয় ভারত-কানাডা সম্পর্ক। বহিষ্কার করা হয় কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককেও।