পৃথিবীতে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সূর্যাস্তের পর এই মন্দির নাকি হয়ে ওঠে অশুভ শক্তির আড্ডা!
ধর্মীয় স্থানকে ইতিবাচক শক্তির কেন্দ্র বলেই ধরা হয়। যদি নেতিবাচকতা কোনও ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করে তবে সেই শক্তিও ইতিবাচকতায় রূপান্তরিত হয়। কথিত আছে, ধর্মীয় স্থানে গেলে নেতিবাচকতা আপনা থেকেই চলে যায়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সূর্যাস্তের পর এই মন্দির নাকি হয়ে ওঠে অশুভ শক্তির আড্ডা!
নেপালের মন্দিরের ভীতিকর গল্প
নেপাল একটি ছোট দেশ হতে পারে, কিন্তু এটি রহস্যময় গল্পে ভরা। নেপালের আর্য ঘাট ও দেবী ঘাট নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। নেপালের মানুষ বলে, সূর্যাস্তের পর মধ্যরাতে সাদা পোশাকে মানুষ ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। এ কারণে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ এখানে যেতে ভয় পায়। আপনি যদি নেপালের এই ভীতিকর স্থানগুলি সম্পর্কে অবগত না হন তবে চলুন আপনাকে নেপালের এই ভীতিকর স্থানগুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় ছবি
নেপালে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দির খুবই জনপ্রিয়। এই মন্দিরটি একটি বিশেষ ধর্মীয় স্থান। লক্ষ লক্ষ হিন্দু এখানে পশুপতিনাথের দর্শন নিতে আসেন। তবে পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে নির্মিত আর্য ঘাট সম্পর্কেও কিছু রহস্যময় ও ভীতিকর কথা শোনা যায়। সূর্যাস্তের পর মানুষ এখানে আসা বন্ধ করে দেয়। কথিত আছে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর এখানকার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। রাতের আঁধারে এখানে বাস করে ভিন্ন জগত।
রাতে আর্য ঘাটে সাদা পোশাকের কারা ঘোরে
নেপালের ভীতিকর স্থানগুলোর মধ্যে আর্য ঘাটের নাম সবার আগে আসে। আর্য ঘাট পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে অবস্থিত। দিনভর লক্ষাধিক ভক্ত এখানে দর্শনার্থী ঘাটে স্নান করতে আসেন। কিন্তু সন্ধের অন্ধকার নামলেই এখানে লোকজন কোথাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এখানে দাহ করতে আসেন। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, এখানে মধ্যরাতে মানুষের কথাবার্তা ও চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে এই ঘাটটিতে নেমে আসে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আর্য ঘাট সম্পর্কে বলা হয়, সাদা পোশাকের কিছু লোক ঘাটে ঘুরে বেড়ায়।
দেবী ঘাটে মহিলাদের নাচ
নেপালের অন্যান্য ভীতিকর স্থানের মধ্যে দেবী ঘাটের নামও আসে। দেবীঘাট চিতওয়ানে অবস্থিত। লোকে বলে, ২০০৯ সালে এই ঘাটে এক ব্যক্তির মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে এই স্থানটি ভূতুড়ে স্থানের তালিকায় পড়ে। এই স্থানটি নেতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ। কেউ কেউ মাঝরাতে এখানে অজানা মহিলাদের নাচতে দেখেছেন। লোকে বলে এখানে মহিলারা নাচলে আশেপাশে আগুন জ্বলতে থাকে। এ কারণে রাতে এই স্থানটি বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।