এবার মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানালেন মুসলিম বুদ্ধিজীবী এবং ইসলামিক পণ্ডিতরা।
গাজায় একের পর এক হামলা হামাসের। এবার মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানালেন মুসলিম বুদ্ধিজীবী এবং ইসলামিক পণ্ডিতরা। ইজরায়েলে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে প্রশমিত করতেই এই প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করার জন্যও জনগণকে আহ্বান করেছেন। 'সব ধরনের সহিংসতার বিরোধিতা' করাই এই মুহূর্তে তাঁদের উদ্দেশ্য।
এই প্রসঙ্গে, পাসমান্ডা আন্দোলনের বিশিষ্ট কর্মী তথা ডাক্তার ডাঃ ফাইয়াজ আহমেদ ফয়েজী বলেছেন,এই ইস্যুতে তিনি দৃঢ়ভাবে সরকারের পাশে আছেন। আওয়াজ-দ্য ভয়েসকে ডাঃ ফাইয়াজ আহমেদ ফয়েজী জানিয়েছেন,'দেশের সকল মুসলমানেরও একই অবস্থান থাকা উচিত।' তিনি আরও বলেন,'হামাস প্রথমে সহিংসতা শুরু করেছিল এবং হামাস মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা ইসলাম ও মানবতার বিরুদ্ধে।'
ডঃ ফাইয়াজ এও জানান যে প্রথমে হামাসের সমর্থনে আলীগড় সহ দেশের কিছু অংশে মুসলমানদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। তাঁর কথায়,ইসরায়েলের হামলায় নিহত যে কোনো নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে তিনি সমর্থন করেন। এই ধরনের লোকদের জন্য যে কোনও প্রতিবাদে তিনি যোগ দেবেন। ইসলামের তত্ব তুলে তিনি বলেন,ইসলামে পিঁপড়া মারাও নিষিদ্ধ। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে, জীবিত প্রাণীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং এটি ইসলাম ও মানবতার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, ফরিদাবাদের জামাইত উলামার সভাপতি মাওলানা জামালুদ্দিন এই যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন,ইতিহাস সাক্ষী যে ভারত সবসময় সহিংসতার বিরুদ্ধে থাকে। এই যুদ্ধ উভয় দেশের জন্য শিক্ষা। তাঁর কথায়,'মানুষ আতঙ্কিত, ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ হ য়ে পড়ে আছে।' পাশাপাশি ভারতের জনগণকে ভারত সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে এবং এই যুদ্ধে পক্ষ না নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাওলানা জামালুদ্দিন।