গাজার সবথেকে বড় হাসপাতাল আল শিফা টার্গেট ইজরায়েলের, এখানে লুকিয়ে হামাস জঙ্গিরা

গাজার সবথেকে বড় হাসপাতাল আলশিফা। এটাই এখন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু। ইজরায়েলের দাবি এখানেই আন্ডার কভার হামাসরা। বিচ্ছিন্ন হাসপাতালে মৃত্যু শতাধিক মানুষের।

শিশু-সহ ১৭৯ জনকে কম্পাউন্ডের ভিতর গণকবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিফা হাসপাতালের প্রধান। হাসপাতাল জল বিদ্যুৎ নেই। খাবার আর ওষুধ বাড়ন্ত। চিকিৎসা করার নূন্যতম পরিষেবা নেই।

গাজার আল শিফা হাসপাতালে মানবিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। হাসপাতালে লাশের ছড়াছড়ি। পচা দুর্গন্ধ দূষণের মূল কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা পরিস্থিতি অমানবিক।

গাজার সবথেকে বড হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক। গত সপ্তাহে ইজরায়েল বাহিনীর বড় হামলা চালায়। তারপর থেকে ৭২ ঘণ্টা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাসপাতাল। বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক।

ইজরায়েলের সেনার দাবি গাজার সবথেকে বড় হাসপাতালটি হামাস জঙ্গিদের টানেল নেটওয়ার্কের ওপর তৈরি করা হয়েছে। এই হাসপাতালের নিচে ভূগর্ভে রয়েছে হামাসের সদর দফতর। যদিও অভিযোগ অস্বিকার করেছে হামাস

শিফা হাসপাতালে ৫০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। এমআরআই স্ক্যান, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ-এর ইউনিট রয়েছে। হামাস স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছেন গাজার প্রায় অর্ধেক অপারেশন হয় এই হাসপাতালে। কিন্তু বর্তমানে সেটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে হাসাপাতালের মাঠে প্রচুর মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের কেন্দ্র হাসাপাতাল হওয়ায় অনেকেই সরে গেছে। যদিও একালার ২.৩ মিলিয়ন মানুষের দুই -তৃতীয়াংশ হামাসের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করছে।

রাষ্ট্রসংঘের অনুমান হাসপাতালের ভিতরে ১০ হাজারেরও বেশি রোগী , কর্মী ও শরণার্থী রয়েছে। যারা এখনও পালাতে পারেনি। অথচ হাসপাতাল নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে।

হাসপাতাল খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল সরকার। কিন্তু তা এখনও সম্ভব হয়নি।

আন্তর্জাতিক আইন যুদ্ধের সময় হাসপাতালগুলিকে বিশেষ সুরক্ষা দেয়। রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশানাল কমিটির মতে যদি হাসপাতালে যোদ্ধারা লুকিয়ে থাকে বা অস্ত্র সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহার করে তাহলে হাসপাতালি সেই রক্ষাকবজ হারাতে পারে।