এর সবগুলো সবসময় আমাদের নজরে পড়েনা। এমনই কতগুলো না-জানা তথ্য জানতে পারলে আপনিও বেশ অবাক হবেন।
২০১৯ সালে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তথ্য অনুযায়ী,
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের যেমন চতুর্মুখী পা থাকে, ঠিক তেমন ধরনেই পা থাকে কুমীরদেরও। এর ফলে এই সরীসৃপ প্রাণী যদি স্থলভাগে দৌড়তে পারত, তাহলে তার গতি হত প্রায় একটি ঘোড়ার গতির সমান।
মানবদেহের ৩ ভাগ জল এক ভাগ স্থল, এই সত্য নবজাতকদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলেই জানাচ্ছে NASA।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, নবজাতক শিশুদের ৭৮ শতাংশই জল, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে জলের পরিমাণ প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশে নেমে আসে।
মানুষ ঘুমনোর সময় ভ্রূণের অবস্থানে ফিরে যেতে পছন্দ করে
স্লিপ অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভাইজরি সার্ভিস-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, মানুষ ঘুমোনোর সময় মাতৃজঠরে থাকার অবস্থানে ফিরে যেতে পছন্দ করে। পিঠ উন্মুক্ত, ‘C’ অক্ষরের মতো আর পেট কিছুটা বাইরের দিকে স্ফীত হয়ে পড়ে।
ডায়নোসরের আমল থেকে পৃথিবীতে রয়েছে ছারপোকা!
গবেষক মাইক সিভা-জোথি পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে, ছারপোকারা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বছর আগে বিবর্তিত হয়েছিল এবং ডাইনোসরের সঙ্গে সঙ্গেই এরা বেঁচে ছিল। এখনও বেঁচে আছে।
টিউলিপ ফুলের দাম সোনার চেয়েও বেশি ছিল
ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের আরবানা-চ্যাম্পেইন উদ্যানবিদ্যা শিক্ষাবিদ মার্থা স্মিথ বলেছেন, ১৬২০-র দশকে একেকটি রেমব্রান্ট-টাইপ টিউলিপের মূল্য ছিল প্রায় দেড় হাজার ডলার! যা সোনার দামের চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন বলে কথিত আছে।
তিনি যখন তুরস্কের সেদির দ্বীপে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার সৈকতটি তাঁর পছন্দ হয়নি। এই কারণে, তাঁর প্রেমিক মার্ক অ্যান্টনি মিশর থেকে বালি এনে সেদির দ্বীপের সৈকত ভরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে ওই দ্বীপটির নাম ক্লিওপেট্রা দ্বীপ।
অলিম্পিক গেমসে শিল্পকলায় প্রতিযোগিতা হয় না কারণ,
১৯১২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত অলিম্পিক গেমসে শিল্পকলার বিষয়েও পদক দেওয়া হত, যেমন চিত্রকলা, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সাহিত্য ও সঙ্গীত। পরে দেখা যায় যে, প্রতিযোগিতা হওয়া শিল্পের নীতিবিরুদ্ধ। তাই, এই বিষয়গুলিতে অলিম্পিকে কোনও প্রতিযোগিতা হয় না।
২০২১ সালে নেচার অ্যানাটমির গবেষণায় দেখা গেছে,
সূর্যের মতো মহাকাশের শক্তিশালী নক্ষত্রগুলি নিজেদের চারপাশের গ্রহদের গিলে ফেলতে পারে। সূর্যেরও সেই ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ, পৃথিবী সহ ৮টি গ্রহের ধ্বংসের কারণ হতে পারে সূর্যই।
ভিক্টোরিয়া এবং অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের তথ্য অনুসারে,
১৪ এবং ১৫ শতকের প্রথম দিকে মানুষের জুতো দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। জুতোর সামনের দিকটা ভরাট রাখার জন্য সাধারণত চুল, উল, শ্যাওলা বা ঘাস দিয়ে ভরা থাকত।
সূর্যের আলো ভালোবাসা বাড়ায়,
২০২১ সালে সেল রিপোর্ট দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্টে দেখা গেছে যে, UVB রশ্মি, যা সূর্যের আলো থেকে আসে, সেই রশ্মি পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে রোমান্টিক আবেগ বাড়ায়। ফলে, প্রেম করতে হলে খুব বেশি ছাতার সাহায্য না-ও নিতে পারেন।