হামলায় নিহতদের দেহগুলি উদ্ধার করার জন্য ইজরায়েল প্রশাসন ঈগল, শকুনের পাখিগুলির ওপরই ভরসা রাখছে। ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগান শিকারি পাখি বা মানুষের দেহ যেসব পাখিরা খায় তাদেরই মৃতদেহ সন্ধানে ব্যবহার করছে।
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে যুদ্ধ। এই অবস্থায় আবারও সামনে এক অমানবিক তথ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসরা ইজরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল তাতে মৃতদেহ খুঁজতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত ইজরায়েল সেনা বাহিনী কাজে লাগাচ্ছেন ঈগল, শকুনের মত পাখিদের।
হামাসের হামলায় ইজরায়েলে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। কারণ একই সঙ্গে জল স্থল আর আকাশপথে হামালা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। তারা একই সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার রকেট তাক করেছিল ইজরায়েলকে নিশানা করে। এই অবস্থায় হামলায় নিহতদের দেহগুলি উদ্ধার করার জন্য ইজরায়েল প্রশাসন ঈগল, শকুনের পাখিগুলির ওপরই ভরসা রাখছে। ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগান শিকারি পাখি বা মানুষের দেহ যেসব পাখিরা খায় তাদেরই মৃতদেহ সন্ধানে ব্যবহার করছে। তেমনই জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান বিভাগের প্রধান ওহাদ হাতজোফ। তিনি বলেছেন, 'যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই ইউনিটে কাজ করা কিছু সংরক্ষক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে আমার পাখি কিছু সাহায্য করতে পারে।' তারপর থেকেই শিকারি পাখিদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ইজরায়েল সূত্রের খবর এই ধারনা এসেছে EITAN থেকে। সেনা াবহিনীর মানবসম্পদ শাকার একটি ইউনিট যা নিখোঁজ সৈন্যদের সনাক্ত করার কাজ করে।
ইজরায়েল প্রশাসন আরও জানিয়েছে, এই প্রকল্পে নেতৃত্বে থাকে গ্রিফন শনুন। এরা প্রধানত মৃতপ্রাণীদের খায়। সেই সঙ্গে ঈগল ও অন্যান্য শিকারী পাখিদেরও কাজে লাগান হচ্ছে। এই প্রকল্পে অধীনে জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে দেওয়া হয় পাখিদের শরীরে। যদিও আগে থেকেই পাখিদের ট্র্যাক করা হয়। তাদের মাইগ্রেটারি প্যাটার্নের সঙ্গে খাওয়ার অভ্যাসও দেখে নেওযা হয়। তারপরই সেই পাখিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
২৩ অক্টোবর একটি বিরল সামুদ্রিক ঈগল উত্তর রাশিয়ায় গ্রীষ্ণকাল কাটিয়ে ফিরে এসেছে। পাখিটিকে ইজরায়েলের আকাশে দেখা গেছে। গাজা স্ট্রিপেও উড়তে দেখা গেছে। সেই তথ্য ট্র্যাক করছিলেন হাতজোফ। তিনি পাখিটি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ইজরায়েল সেনা বাহিনীকে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। সেই তথ্য খতিযে দেখে ইজরায়েল সেনা বাহিনী চারটি দেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদের পরিচয়ও জানা গিয়েছে। ইজরায়েল বাহিনীর দাবি হামাসের আক্রমণ ৭ অক্টোবর ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। পাল্টা ইজরায়েলের হামলায় গাজাস্ট্রিমে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়িছে।