শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার সাধারণ মূল্যায়ন ছিল এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হবে। ক্ষমতাসীন দলকে স্বস্তি দিতে নির্বাচন কমিশন সম্পদের অভাবের অজুহাত তৈরি করেছে বলে কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।
শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়টি এখনও আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলো। স্থানীয় নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল ৯ মার্চ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য নির্বাচনী কাজে অর্থ নেই বলে নির্বাচন স্থগিত করে।
শ্রীলঙ্কার মিডিয়ার সাধারণ মূল্যায়ন ছিল এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হবে। ক্ষমতাসীন দলকে স্বস্তি দিতে নির্বাচন কমিশন সম্পদের অভাবের অজুহাত তৈরি করেছে বলে কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। এখন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতা সজিথ প্রেমাদাসার নেতৃত্বে একদল সাংসদ অর্থ সচিবকে তলব করার জন্য স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা অবেবর্দেনার কাছে দাবি জানিয়েছেন। এই সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে তাদের চিঠি অবেবর্ধেনার কাছে জমা দিয়েছেন।
এই চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান নিমল পুঞ্চিহেওয়া স্পিকারের কাছে লেখা চিঠির বিষয়েও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয় যে ২৪শে ফেব্রুয়ারি স্পিকারের কাছে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করতে বলে পুনচিভা এই চিঠিটি লিখেছিলেন। এই চিঠি পাঠানোর আগেই নির্বাচন পেছানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, বর্তমানে নির্বাচন করার টাকা নেই। সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সব দলকে আলোচনা করে সমাধান বের করতে হবে। তিনি বলেন- 'এখন টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, সামনে কোনো নির্বাচন নেই। নির্বাচন কমিশন নতুন কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি। তাহলে আমরা কি করতে পারি?
এ প্রসঙ্গে প্রেমাদাসা বিরোধী দলের একদল সাংসদকে নিয়ে মঙ্গলবার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি দাবি করেন, তহবিলের ব্যবস্থা করা হলে নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে নির্বাচন করতে প্রস্তুত থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী কাজে ১০ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ ছিল, যা সরকার ছাড়ছে না। স্থানীয় নির্বাচন না হলে সংসদের মর্যাদাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রেমাদাসা।
প্রেমাদাসার সাথে তার দল সামগাই জনা বালাওয়েগয়া (এসজেপি) এর নেতাদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পোদুজুনা পেরামুনা (এসএলপিপি) এর ভিন্নমতাবলম্বী নেতারা ছিলেন যারা স্পিকারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি অবেবর্ধেনাকে অর্থসচিবকে ডেকে বলতে চেয়েছিলেন যে বিরোধী সাংসদরা তার সাথে তহবিলের স্বল্পতার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চান। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেন- 'আমরা অর্থসচিবের সামনে পরিসংখ্যানসহ আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে চাই। এরপর তারা কেন নির্বাচন কমিশনকে টাকা দিচ্ছে না সে বিষয়েও তাদের অবস্থান তুলে ধরতে পারবেন।