বছরের শুরুর দিকেই উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে তা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রধান শত্রু দেশের নাকট দেখার শাস্তি দিলেন দেশের শিশুদের।
কোরিয়ান যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলার পরে ১৯৫৩ সালে শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ , দ্বন্দ্ব সবই রয়েছে গেছে এখনও পর্যন্ত। আধুনিক এই যুগেও সাধারণ একটি বিদেশি নাটক দেখার শাস্তি যে কি ভয়ঙ্কর হতে পারে তা দেখিয়ে দিল উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়ার নাটাক দেখায় একসঙ্গে ৩০টি শিশুকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল উত্তর কোরিয়া।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে তা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রধান শত্রু দেশের নাকট দেখার শাস্তি দিলেন দেশের শিশুদের। উত্তর কোরিয়ায় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদনমূলক কোনও জিনিস, নাটক , নাচ, গান, সিনেমা দেখা বেআইনি। খেলাও দেখতে দেওয়া হয় না। কে-নাটক- উত্তর কোরিয়ায় দেখান হয় না। সেগুলি পেনড্রাইভ বা সিডি হিসেবে পাওয়া যায়। মোটকথা বেআইনি ভাবে পাচার হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া আউটলেট চোসুন টিভি এবং কোরিয়া জুংআং ডেইলি রিপোর্ট করেছে যে উত্তর কোরিয়া 30 জন মাধ্যমিক-বিদ্যালয়কে কে-ড্রামা দেখার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বেআইনি ভাবে আসা নাটক দাখার জন্য মেরেই ফেলা হল ৩০ জন শিশুকে। যদিও উত্তর কোর্য়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সর্বশেষ প্রতিবেদনগুলি নিশ্চিত করা যায় না। দেশটি যতক্ষণ নিজে থেকে কিছু না জানায় ততক্ষণ কিছুই জানা যায় না। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন সামগ্রীর কারণে এর আগেও উত্তর কোরিয়ায় এজাতীয় শাস্তির উদাহরণ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা ডিজিটাল সামগ্রী বিক্রির জন্য ২০২২ সালে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করেছিল কিম-এর সরকার।