GenZ বিক্ষোভে অস্থির নেপাল। জনতা ও সেনা বাহিনীর চাপে গদি ছাড়তে বাধ্য় হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। শোনা যাচ্ছে তিনি দেশ ছেড়়ে পালিয়ে গেছেন দুবাইতে। এই অবস্থায় কে হাল ধরবে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এই রাজ্যটির? জল্পনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই দুটি নাম সামনে এসেছে। একটি হল কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ। অন্যটি সুদান গুরুং। সুদান এই আন্দোলনের মুখ। কিন্তু বালেন্দ্র এই আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
25
নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে?
নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর চর্চায় প্রথমেই যে নামটি সামনে আসছে সেটি হল কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র। নেপালের বাঘা বাঘা রাজনীতিবীদদের হারিয়ে তিনি মেয়র হয়েছিলেন। মাত্র ৩৫ বছরকের বালেন্দ্রর হাতেই আন্দোলনকারীরা নেপালের শাসনভার তুলে দিতে চাইছেন। স্থানীয়দের কাছে তিনি বালেন নামেই পরিচিত।
35
বয়সের জন্যই আন্দোলন থেকে দূরে
নেপালের এই আন্দোলন ২৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল। সেই কারণেই কাঠমান্ডুর মেয়রক বালেন্দ্র শাহ এই আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন তিনি।আন্দোলনকে তিনি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। আবার শর্মা ওলির পদত্যাগের পর তিনি আন্দোলনকারীদের সংযত হতে বলেছেন।
১৯৯০ সালে কাঠমাণ্ডুতে জন্ম বালেন্দ্র শাহের। পেশায় তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়র। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ভারতে এসেছিলেন।
পরবর্তীকালে বালেন্দ্র নেপালের ব়্যাপার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। তিনি নিজের সুর করা গানে তিনি আর্থিক বৈষম্য ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। গানের মাধ্যমেই তিনি প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
55
প্রশাসক হিসেবে জনপ্রিয়
কাঠমান্ডুর মেয়র হিসেবে বালেন্দ্র কাজ নজর কেড়েছে সে দেশের ও বিদেশের মানুষদের। সরকারি স্কুল, রাস্তার উন্নতি থেকে কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা- এগুলি আকৃষ্ট করেছে তরুণ প্রজন্মকে। টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের সেরা ১০০ Emerging Leaders-এর তালিকাতেও তিনি রয়েছে। তাঁর জীবনযাপন, স্টাইল, গাড়ির কালেকশন- রোল মডেল করেছে। সেই কারণেই তিনি তরুণ নেপালিদের কাছে প্রবল জনপ্রিয়।