- Home
- World News
- International News
- নেপালে আন্দোলনের মুখ ভূমিকম্পে সন্তানহারা এক বাবা! চিনুন সুদান গুরুংকে
নেপালে আন্দোলনের মুখ ভূমিকম্পে সন্তানহারা এক বাবা! চিনুন সুদান গুরুংকে
নেপালের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী নেপালের আন্দোলনের চালিকা শক্তি হল বছক ৩৬-এর এক তরুণ। তাঁর নাম সুদান গুরুং।

বিক্ষোভ নেপালে
সোমবার থেকে Gen Z-দের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। মঙ্গলবারও তার রেশ অব্যাহত ছিল। বলা থেকে পাবে বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। নেপালের রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। একাধিক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলাও চালান হয়। এই অবস্থায় চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু নেপালে এই বিক্ষোভের মুখ কে? আসুন দেখে নিন ছবিতে।
নেপালের বিদ্রোহের মুখ
নেপালের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী নেপালের আন্দোলনের চালিকা শক্তি হল বছক ৩৬-এর এক তরুণ। তাঁর নাম সুদান গুরুং। তিনি নেপালেরই বাসিন্দা। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ডিজে হিসেবে। পরবর্তীকালে স্বেচ্ছেসেবী সংগঠন তৈরি করে প্রত্যন্ত নেপালে শিক্ষার প্রসারে কাজ করেছিলেন। ত্রাণ সরবরাহ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজও করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমান তাঁর সেবার কাজের ছবি। একই সঙ্গে তিনি প্রতিবাদের গান গাইছেন এমন ছবিও রয়েছেন। সবমিলিয়ে GenZদের 'হিরো' সুদান গুরুংকে চিনে নিন।
সুদান গুরুং
সুদান গুরুং ২০১৫ সালে হামি নেপাল নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। এই সংগঠনের প্রাণভমরা মূল ছাত্র ও যুবরা। এই সংগঠনটি নেপালের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার প্রসারের জন্য কাজ করে।
নেপালের ভূমিকম্প
২০১৫ সালে নেপাল ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজের এক সন্তানকে হারান সুদান গুরুং। তারপরই তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেন। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে জন্য পরবর্তীকালে ত্রাণ বিলি করেছিল তাঁর সংস্থা। পরবর্তীকালে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজেও সামিল হয়।
জনপ্রিয় মুখ
সুদান গুরুং বর্তমানে নেপালের জনপ্রিয় মুখ। তিনি একটা সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডিসকো জকি বা ডিজে হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সময় নিজের কাজের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সেই পরিচিতি পরবর্তীকালে সমাজসেবায় কাজে লাগেন। সমাজসেবার কাজের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। নেপালের ছাত্র ও যুবদের কাছে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
গণবিক্ষোভের আগুন
অতীতে সুদান গুরুং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউট দুর্নীতির প্রতিবাদে। সামিল হয়েছিল ঘোপা ক্যাম্প আন্দোলনেও। সেই সময় তিনি চর্চিত নাম ছিলেন নেপালে। সম্প্রতি নেপাল সরকার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্য়াপ -সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে সরকার বিরোধী অসন্তোষ বাড়ছিল। সেই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করেন সুদান। নেপাল সরকারের বিধিনিষেধের মধ্য়ে নেই টিকটক। সেই টিকটককে হাতিয়ার করেই সুদান সরকারি বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে দেন।
নেপালের আন্দোলনকারী কারা?
নেপালের আন্দোলনকারীরা নিজেদের খাতায় কমলে GenZ বলে পরিচয় দিচ্ছেন। বিভিন্ন পোস্টার তেমনই বলছে। তাদের দাবি শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার জন্যই এই বিক্ষোভ নয়, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও তারা সরব হয়েছেন। সেখানে মন্ত্রের মত কাজ করেছেন সুদান গুরুং।

