ইতালিতে (Italy) মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মূর্তিতে ভাঙচুর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসছে খালিস্তানিপন্থীদের।
ইতালিতে (Italy) মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মূর্তিতে ভাঙচুর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসছে খালিস্তানিপন্থীদের।
প্রসঙ্গত, ইতালি শহরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মহাত্মা গান্ধীর একটি মূর্তি তৈরি করা হয়। যে মূর্তিটি উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। কারণ, জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি ইতালি যাবেন। সেই সফরের মাঝেই এই মূর্তিটি উন্মোচন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগেই খালিস্তানিপন্থীরা আক্রমণ চালায় এই মূর্তির ওপর। ইতালি শহরের বুকে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে খালিস্তানিপন্থী সংগঠনের। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনের ঠিক আগেই এই ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়।
মঙ্গলবার, এই ঘটনাটি ঘটে। তবে শুধু ভাঙচুর নয়। খালিস্তানিপন্থী সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জা সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত স্লোগানও লেখা ছিল মূর্তির পাশে। আর ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটেছে, যার কয়েকদিন পরই জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যেখানে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে এই মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুর নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বাস্তবে খালিস্তানিপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের চরমপন্থী মতাদর্শের অবস্থান থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু এই ধরণের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে বৃহত্তর সতর্কতার প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অনেকে। রীতিমতো এই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন বহু মানুষ।
বুধবার, এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা জানিয়েছেন, “ইতালির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুরের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সেইসঙ্গে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন ইতালিতে ৫০ তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল রওনা দেবেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।