নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ভারতীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশালন। বিমানে ১০ জন বিদেশি ছিল। অধিকাংশ যাত্রী ছিল নেপালি।
আবার বিমান দুর্ঘটনা নেপালে। রবিবার পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি যাত্রীবাহী বিমান নদীর ঘাটে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় বিমানে থাকা ৩২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ ভারতীয়। বিমানের কোনও যাত্রী বেঁচে নেই। মৃত্যু হয়েছে ক্রু মেম্বারদেরও। সবমিলিয়ে মৃত্যের সংখ্যা ৭২। নেপাল প্রশাসন জানিয়েছে এই বিমানে থাকা ১০ জন বিদেশী মারা গিয়েছে। বিমানে সবমিলিয়ে ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। কারও বাঁচার আশা নেই বলেও মনে করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইয়েতি এয়ারলাইন্স পরিচালিত দুই ইঞ্জিনের বিমান ATR 72 কাঠমাণ্ড থেকে পোখরা যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। বেলা ১১টা নাগাদ পোখরা যাওয়ার কথা। কিন্তু অবতরণের আগেই বিমানটি সেতি নদীর তীরে ভেঙে পড়ে যায়। সেই সময় বিমানটিকে আগুন লেগে যায়। ইয়েতি বিমান বন্দ কর্কৃপক্ষ জানিয়েছে. এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দুটি শহরে যাত্রাপথে মাত্র ২৫ মিনিট সময় লাগে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিষেক কুশওয়াহা, বিশাল শর্মা, অনিল কুমার রাজভার, সোনু জয়সওয়াল এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল নামের পাঁচ ভারতীয়কে শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসও নিশ্চিত করেছে ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয় ছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে। ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে নিহত যাত্রীদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে ইয়েতি বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমানে ১০ জন বিদেশী পর্যচক ছিল বলেও জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন। কিছু যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইয়েতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দ্য হিমালয়ান টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৩২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে অধিকাংশ যাত্রীই নেপালের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে, তবে বহু বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন। পাহাড়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে আপাতত জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগিয়েছেন বলে খবর। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
কী কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে বিমানবন্দরের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরের একেবারে কাছে এসে অবতরণের সময় সিগনালিংয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত নেপাল সরকার, বিমানবন্দরের তরফে জোর কদমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আগুন নেভানো গিয়েছে, তবে বেশ কয়েকজন যাত্রী এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
নেপালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের
মকর সংক্রান্তির মেলায় গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত ১, সঙ্গে দেখুন ১০টি দেশের খবর