সংক্ষিপ্ত
নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে মরিয়া সরকার। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী বিমানটি এমনভাবে ভেঙে পড়েছে আর তাতে যেভাবে আগুন লেগেছে তাতে কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকা সম্ভাবনা নেই। বিমানে ৪ ক্রু সদস্য-সহ ৭২জন সওয়ার ছিল। বিহনের যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন বিদেশি আর ৫ জন ভারতীয় যাত্রী ছিল। পাঁচ ভারতীয় যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় দূতাবাস নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে কাটা ছেঁড়া। কারণ- উড়ানের মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাতে আগুন লেগে যায়।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ-
বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই পাঁচটি কারণে কাঠমাণ্ডু-পোখরাগামী বিমানটু দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে-
১. ATR72 হল একটি বহুল ব্যবহৃত টুইট-ইঞ্জিন টার্বোপ্রপ প্লেন, যা এয়ারবাস ও ইতালিত নিওলার্দোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল।
২. ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট ব়্যাডার ২৪ বছর যে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটির বয়স ১৫ বছরেরও বেশি। একটি একটি পুরনো ট্রান্সপন্ডার দিয়ে সাজান হয়েছিল। যা তথ্য নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে।
৩. ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট অনুসারে ৬টি ATR7 ৫০০ প্লেনের ব্যবহার রয়েছে। ইয়েতি তার ওয়েসবাইটে নেপালের গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইন্স হিসেবে নিজেকে দাবি করে। কিন্তু এর বিমানগুলি অত্যান্ত পুরনো।
৪. ইয়েতি এয়ারলাইসের ফ্লাইট 9N-ANC ATR-72 রবিবার সকাল থেকে তিনবার কাঠমান্ড ও পোখরা যাত্রা করেছিল। প্রথমে কাঠমান্ডু ছেকে পোখরা যায়। তারপর আবার কাঠমান্ডুতে ফিরে আসে। তারপর আবার সেখান থেকে পোখরার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
৫.ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে উড়ান শুরু করে। পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পুরাতন বিমানবন্দর ও নতুন বিমানবন্দরের মধ্যে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত
নেপাল প্রশাসন জানিয়েছে, ATR 72 বিমানটি কাঠমাণ্ড থেকে পোখরা যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। বেলা ১১টা নাগাদ পোখরা যাওয়ার কথা। কিন্তু রানওয়েতে অবতরণের আগেই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কি কারণে দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে নেপাল সরকার ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
বিমান দুর্ঘটনার পরই নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল বা প্রচণ্ড মন্ত্রিপারিষদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানেই তিনি দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বিমান দুর্ঘটনায় নিতহদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বিমান দুর্ঘটনার নিহতদের শোক জানাতে রাষ্ট্রীয় শোকের ডাক দেওয়া হয়। উপ-প্রধানমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল বলেছেন, সরকার এক দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ৫ ভারতীয়-সহ ১০ বিদেশির মৃত্যু, জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ
Nepal Plane Crash Updates- যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ, এমার্জেন্সি বৈঠক তলব নেপাল ক্যাবিনেটের