পাহাড়ি অঞ্চলে বাস বা অন্যান্য গাড়ি নিয়ে যাওয়া সবসময়ই বিপজ্জনক। যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তা সত্ত্বেও নিয়মিত যাতায়াত চলছে। এরই ফলে নেপালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
নেপালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন ভারতীয়র মৃত্যু হল। নেপালের তানাহুন জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভারতের একটি বাস মারসিয়াঙ্গদি নদীতে পড়ে যায়। বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সাড়ে ১১টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর্মড পুলিশ ফোর্সের মুখপাত্র কুমার নিয়াউপানে জানিয়েছেন, এই দুর্ঘনার পর উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়তে পারে। এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে নেপাল সরকার। তানাহুন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আনবু খাইরেনি-২ অঞ্চলের আয়না পাহাড়া অঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
নেপালে এখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় ধসও নামছে। ফলে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এর ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে তানাহুন জেলা প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পর্যটনস্থলের দিকে যাচ্ছিল বাস। সেই সময়ই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। এর ফলে রাস্তা থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে বাস। তানাহুন জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার দীপক কুমার রায়া জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আয়না পাহাড়া থেকে মারসিয়াঙ্গদি নদীতে পড়ে গিয়েছে যাত্রীবাহী বাস। আমরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছি। এই দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে নেপাল পুলিশ
তানাহুন জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালের আর্মড পুলিশ ফোর্সের ৪৫ জন কর্মী উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। নেতৃত্বে আছেন সিনিয়র পুলিশ সুপার মাধব পৌডেল। নদী থেকে বাস তুলে আনা এবং যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজে সাহায্য করছেন স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা। তবে ভারী বৃষ্টির ফলে নদী এখন খরস্রোতা। এই কারণে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
নেপাল-ভারত নতুন ল্যান্ডপোর্টের উদ্বোধন মোদী-প্রচণ্ডর হাতে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ়় করতে উদ্যোগ
ভারত-নেপাল সীমান্তে চিনের বিশাল বাঁধ, গঙ্গার গতিপথে প্রভাব পড়লে কী হবে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি?