সংক্ষিপ্ত

উপগ্রহের ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে যে, এই বাঁধের খুব কাছেই একটি বিমানবন্দরও তৈরি করা হচ্ছে।

ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর নির্মিত বাঁধ নিয়ে যখন ভারত বনাম চিন তরজা তুঙ্গে, তখনই গঙ্গার এক শাখানদীর ওপর ফের আরেকটি বাঁধ তৈরি করছে চিন। নতুন এই বাঁধটি ভারত, নেপাল ও চিন, তিন দেশের সীমানার খুব কাছে তিব্বতে অবস্থিত। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গার শাখানদীর নিচের দিকের জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে চিন। এই বিষয়েই ভারত প্রশাসনের মনে তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা। পূর্বে চিনের নির্মাণ করা অরুণাচল সীমান্ত লাগোয়া নির্মীয়মাণ বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় ছিল ভারত।

ভারত-নেপাল সীমান্তে নির্মীয়মাণ বাঁধটির ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। তিব্বতের এই নয়া বাঁধের চিত্র প্রকাশ্যে এল সেই সময়েই, যখন ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর চিনের তৈরি 'সুপার ড্যাম' নিয়ে আলোচনা চলছে প্রবল। ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর তৈরি বাঁধটির কারণে আটকে যাবে ব্রহ্মপুত্রর জলধারা। অরুণাচল প্রদেশের কাছে তৈরি হচ্ছে চিনের এই 'সুপার ড্যাম'। যেটির ক্ষমতা প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট।

তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদী অরুণাচলে প্রবেশ করে সিয়ান নদ হয়ে যায়। পরে অসমে গিয়ে সেটাই হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। ভূবিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, বাঁধ নির্মাণের পর ব্রহ্মপুত্র নদের জলধারা বা গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে পারে চিন। সেই আশঙ্কার মাঝেই এবার দ্বিতীয় আশঙ্কা তৈরি হল গঙ্গার শাখানদীর ওপর তিব্বতে তৈরি নয়া বাঁধ নির্মাণের খবরে।

বৃহস্পতিবার ইন্টেল ল্যাবের একজন ভূবিজ্ঞানী নতুন নির্মীয়মাণ বাঁধের ছবিটি টুইটারে পোস্ট করেন। উক্ত গবেষকের নাম ড্যামিয়েন সাইমন। তাঁর টুইট করা স্যাটেলাইট চিত্রগুলিতে দেখা গেছে, ২০২১ সালের মে থেকে তিব্বতের বুরাং কাউন্টিতে মাবজা জাংবো নদীর ওপর চিন একটি বাঁধ নির্মাণ করছে। এই মাবজা জাংবো নদী ভারতে প্রবেশ করে গঙ্গায় যোগ দেয়। তার আগে এই নদী নেপালের ঘাঘরা বা কর্নালি নদী হিসেবে প্রবাহিত হয়। সাইমন বলেন, বাঁধটি ভারত ও নেপালের সাথে চিনের সীমান্তের সংযুক্তিস্থল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

বাঁধটি ভারত ও নেপালের সাথে চিনের সীমান্তের ত্রিসীমানা এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের কালাপানি অঞ্চলের বিপরীতে অবস্থিত। মাবজা জাংবো নদীর জলকে বাধা দিতে বা প্রবাহ বদলে দিতে ব্যবহার করা হতে পারে এই বাঁধের। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্র বলছে, মাবজা জাংবো নদীর ওপর অবস্থিত বাঁধটি প্রায় ৩৫০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার দীর্ঘ। সাইমন বলেন, 'কাঠামোটি এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হয়নি। নির্মাণের কাজ চলছে। এটা তৈরি করার আসল উদ্দেশ্য কী, সেটা এখনও অজানা।' উপগ্রহের ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে যে, এই বাঁধের খুব কাছেই একটি বিমানবন্দরও তৈরি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-
যোগী আদিত্যনাথের ওপর গণহত্যার মামলা, সুইৎজ়ারল্যান্ডে অভিযোগ জানালেন বিশ্বের তাবড় আইনজীবীরা
কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে ব্রিজভূষণ সিংকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল বিজেপি, ‘অপরাধী তকমা নিয়ে যাবো না’, জানালেন সাংসদ