
বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনী রয়েছে চিনের, যেখানে প্রায় ২ মিলিয়ন সেনা রয়েছে। তবুও এখন চিনে এক আশ্চর্যজনক পরিবর্তন চোখে পড়ছে। চিনা প্রাইভেট কোম্পানিগুলোও এখন তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী তৈরি করছে। তারা তাদের কর্মীদের অস্ত্রে সজ্জিত করছে এবং তাদের সামরিক প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৬টি বড় চিনা কোম্পানি তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী প্রস্তুত করেছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে একটি দুগ্ধজাত পণ্যও উত্পাদন করে। এসব কোম্পানিতে সেনাবাহিনী গঠনের কাজ দেখার জন্য আলাদা বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এই বিভাগের নাম দেওয়া হয়েছে পিপলস আর্মড ফোর্সেস বিভাগ।
তথ্য অনুযায়ী, এই প্রাইভেট মিলিটারি ইউনিটগুলোকে রাখা হবে চিনা সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে। যেকোনো দুর্যোগ বা সামাজিক অস্থিরতার প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে এদের ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্পোরেট ব্রিগেড তৈরি করা হচ্ছে যাতে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বা অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিলে তাদের ব্যবহার করা যায়। মনে করা হয়, করোনার সময় যখন চিন সরকার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে সিস্টেম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
এখন কর্পোরেট সেনাবাহিনীও এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করবে। এর বাইরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে চিনা সমাজে কমিউনিস্ট মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া করপোরেট সেক্টরকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে এর আওতায় কোম্পানিগুলোকেও সেনাবাহিনী গঠন করতে বলা হয়েছে। এই সেনাবাহিনী জনগণকে শৃঙ্খলার পাঠ শেখাবে এবং তাদের চিনের কমিউনিস্ট মতাদর্শের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
কেন শি জিনপিং একটি কর্পোরেট সেনাবাহিনী তৈরি করছেন?
চিনের রাজনীতি বিশ্লেষক নিল থমাস বলেছেন, কর্পোরেট সামরিক বাহিনী, দেশের সামরিক নেতৃত্বের সাথে একত্রে চীনের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ সামলাবে। জনগণের উপর কমিউনিস্ট পার্টির দখলকে শক্তিশালী করার জন্য এটি চীনের নীতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।