পুতিনকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার চাপ দিলেও রাশিয়ার তাতে থোড়াই কেয়ার। কিছুতেই সঙ্ঘর্ষ থামাতে রাজি নয় রাশিয়া। ফলে শনিবার রাতে ফের ইউক্রেনে হামলা চালালো রাশিয়া।
25
ইউক্রেনে হামলা
সূত্রের খবর, রুশ বাহিনী রাতভর ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ঘটনায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তীব্র বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
35
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হামলা
ফের রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা তীব্র হলো। ইউক্রেন সরকার সূত্রে খবর, শনিবার ভোররাতে রাশিয়া ফের অন্যতম বৃহৎ হামলা চালায়। একযোগে ৪৫০টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে। এই তীব্র হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং কিয়েভ, পোলতাভা ও খারকিভসহ একাধিক অঞ্চলের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার পর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোতে জরুরি পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
দ্নিপ্রো শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া জাপোরিঝিয়ায় আরও তিনজন এবং খারকিভে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী স্বিতলানা হ্রিনচুক জানান, জরুরি কর্মীরা বিদ্যুৎ গ্রিড স্থিতিশীল করতে সক্ষম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের জন্য দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমিক লোডশেডিং চালিয়ে যেতে হবে।
55
সবচেয়ে বড় হামলা
রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা সেন্ট্রেনেরগো জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরুর পর থেকে তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর গুলোর ওপর এটি সবচেয়ে বড় হামলা।আরও জানা গিয়েছে যে, কিয়েভ এবং খারকিভ অঞ্চলের তাদের সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে।