- Home
- World News
- International News
- একটেবিলে বসেও মিটলো না সমস্যা, ফের পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবান সরকারের
একটেবিলে বসেও মিটলো না সমস্যা, ফের পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবান সরকারের
Pak Afghan Clash: কিছুতেই থামছে না পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান সঙ্ঘর্ষ। দুই দেশের বিবাদ মেটাতে আলোচনায় বসলেও ভেস্তে গেলো তা। কী বলছে তালিবান সরকার? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

অব্যাহত পাক-আফগান সঙ্ঘর্ষ
শান্তির পক্ষে আলোচনার জন্য মুখোমুখি বসলেও শেষপর্যন্ত বৈঠক না হয়ে ভেস্তে গেলো তা। শনিবার তুরস্কের ইস্তানবুলে তৃতীয় দফার আলোচনায় বসেছিলেন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই আলোচনাও গেলো ভেস্তে। ফলে এখনও মিটল না দুই দেশের সম্পর্কের এই জটিলতা।
পাকিস্তানকে হুমকি তালিবান সরকারের
এদিকে তুরস্কের ইস্তানবুলে তৃতীয় দফার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরই ফের পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিলো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। আফগান প্রতিনিধি দল এদিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাফ জানায় যে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু পাকিস্তানের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে। পাকিস্তান বাধা সৃষ্টি করছে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মতো আচরণ করছে।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি
শনিবার শান্তিচুক্তির বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে তালিবান সরকার। তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন যে, ‘’আমাদের আফগান প্রতিনিধিরা সৎ বিশ্বাস এবং ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যোগ দিয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম এই আলোচনা গঠনমূলক হবে। কিন্তু পাকিস্তান সহযোগিতা না করে বরং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মতো আচরণ করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে তারা কোনও দায়িত্বই নিতে চায়নি। আফগানিস্তান বরাবরই আশাবাদী ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের আচরণ আলোচনাকে ফলপ্রসূ করেনি।''
এক টেবিলে বসেও ভেস্তে গেলো আলোচনা
সূত্রের খবর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক এবং কাতার। গত বৃহস্পতিবার থেকে আলোচনা শুরু হয়। শনিবার দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসলেও একটি বিষয়ে পাকিস্তান রাজি হতে সম্মত না হওয়ায় ভেস্তে যায় বৈঠক।
পাকিস্তানের পাল্টা হুঁশিয়ারি
এদিকে তালিবান হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছেন পাক মন্ত্রী আসিফ। তিনি বলেন, ‘’আফগানিস্তানের মাটি থেকে কোনও আক্রমণ এলে তারা ছেঁড়ে কথা বলবেন না। তুরস্ক এবং কাতার দু’দেশই আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছিল। এমনকী আফগান প্রতিনিধিরাও সহমত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা লিখিত সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। তাঁরা চেয়েছিল মৌখিক সম্মতিপত্র গ্রহণযোগ্য হোক। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার ক্ষেত্রে এটা হয়না।''

