মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদি আরব। কিন্তু এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে সৌদি আরব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাঁচ দশকের পেট্রোডলার সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ করল সৌদি আরব। এবার থেকে শুধু আর মার্কিন ডলারের বিনিময়েই নয়, আরও কয়েকটি দেশের মুদ্রার মাধ্যমে জ্বালানি দেবে সৌদি আরব। ১৯৭৪ সালের ৮ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পেট্রোডলার সংক্রান্ত চুক্তি করে সৌদি আরব। সেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে গত রবিবার। সৌদি আরব সরকার নতুন করে আর চুক্তি করতে চাইছে না। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেতে চলেছে। পেট্রোডলারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে আর্থিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যে সময় পেট্রোডলার সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল সেই সময় সামরিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য দরকার ছিল সৌদি আরবের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও আর্থিক প্রভাব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ছিল। এই কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যুগ্ম কমিশন গঠন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশা ছিল, এই চুক্তির ফলে সৌদি আরব আরও তেল উৎপাদন করবে এবং আরব দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয়নি। এবার চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল সৌদি আরব।
চিন-সৌদি আরব সখ্য?
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে চিনকেই এখন নির্ভরশীল বন্ধু মনে করছে সৌদি আরব। এই কারণেই পেট্রোডলার সংক্রান্ত চুক্তি ভেঙে দেওয়া হল। এবার থেকে অন্য দেশগুলিকে জ্বালানি দেওয়ার বিনিময়ে মার্কিন ডলারের পাশাপাশি চিনের মুদ্রা ইয়ান, ইউরো, জাপানের মুদ্রা ইয়েনও নেবে সৌদি আরব। বিটকয়েনের মতো ডিজিট্যাল মুদ্রা গ্রহণ করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
ধাক্কা খাচ্ছে মার্কিন অর্থনীতি
সৌদি আরব থেকে তেল নিতে হলে আর যখন মার্কিন ডলার দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তখন অন্য দেশগুলির মুদ্রার ব্যবহার বাড়তে চলেছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমতে চলেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Nitin Gadkari: ভবিষ্যতে দেশে আর চলবে না পেট্রোল-ডিজেল চালিত যান! বৈদ্যুতিক যানে ভরসা গড়কড়ির
পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি বেশি বিপজ্জনক, জেনে নিন কী বলছে সমীক্ষা
মহাকাশে মিলল 'পেট্রোল'! তাহলে কি এবার চাঁদ আর মহাকাশে বসবাস করা সহজ হয়ে উঠতে চলেছে