বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে খবর, এই সমস্যার সমাধান নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর মধ্যে আলোচনায় চিকিৎসা উচ্ছেদ, মাদক চোরাচালান এবং ভারতীয় সামরিক কর্মীদের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু শপথ নেওয়ার পরেই তার অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল যে সরকার ভারতকে দেশ থেকে তার সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করতে বলেছে। রাষ্ট্রপতি মুইজু ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সাথে দেখা করেন, ঘোষণায় বলা হয়। এই সময় তিনি মন্ত্রী রিজিজুকে সেনা উপস্থিতি সরানোর অনুরোধ করেন। মুইজুর নির্বাচনী প্রচারে ভারত ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনও শুরু করেছিলেন। মুইজু বলেছিলেন, তার সরকার মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করে কোনো দেশের কাছাকাছি যাবে না।
এদিকে, বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে খবর, এই সমস্যার সমাধান নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর মধ্যে আলোচনায় চিকিৎসা উচ্ছেদ, মাদক চোরাচালান এবং ভারতীয় সামরিক কর্মীদের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। এখানে জেনে রাখা ভালো যে মালদ্বীপে প্রায় ৭০ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। এই সেনা রাডার এবং নজরদারি বিমানের জন্য মালদ্বীপে মোতায়েন করা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজু মালদ্বীপ থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মুইজু তার প্রথম বক্তৃতায় এটি নতুন করে তুলে ধরেন যে মালদ্বীপে কোনো দেশের কোনো সামরিক কর্মী থাকবে না। প্রেসিডেন্ট মুইজু বলেন, যখন আমাদের নিরাপত্তার কথা আসবে তখন আমি একটি লাইন টানব। মালদ্বীপও অন্যান্য দেশের লাইনকে সম্মান করবে। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মুইজুকে চিনের সমর্থক হিসাবে দেখা হয়।
এসব বিষয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা
সূত্রের মতে, রাষ্ট্রপতি মুইজু মালদ্বীপের নাগরিকদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ভারতীয় হেলিকপ্টার এবং বিমানের অবদানের প্রশংসা করেছেন। তারা উভয়েই একমত যে এর মাধ্যমে উভয় সরকার অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাস্তব সমাধান নিয়ে আলোচনা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইব্রাহিম সোলিহের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এটি ভারতের কাছ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ ছিল। গত সপ্তাহে মহম্মদ মুইজ্জু ১৯ হাজার ভোটে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম সোলিহকে পরাজিত করেন। দুজনের মধ্যে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল আট শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মালদ্বীপের এই নির্বাচনী ফলাফল ভারতের বিপক্ষে এবং চিনের পক্ষে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে