জাপানে আবারও তীব্রভাবে কেঁপে উঠল মাটি, ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা?

এই মাসের শুরুতে, রিখটার স্কেলে ৭.৪ পরিমাপের একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ফুকুশিমা প্রিফেকচারের পূর্বে আঘাত হানে, একই এলাকা যেটি ১১ বছর আগে জাপানের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের শিকার হয়েছিল,

জাপানের হোক্কাইডোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৬.১। ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় দুপুর ২.৪৮ মিনিটে (ভারতীয় সময়)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোতে এটি দ্বিতীয় ভূমিকম্প। ২৫ ফেব্রুয়ারি হোক্কাইডোর পূর্ব অংশে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

Latest Videos

এই মাসের শুরুতে, রিখটার স্কেলে ৭.৪ পরিমাপের একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ফুকুশিমা প্রিফেকচারের পূর্বে আঘাত হানে, একই এলাকা যেটি ১১ বছর আগে জাপানের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের শিকার হয়েছিল, ১৬ মার্চ মধ্যরাতের ঠিক আগে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পে দুইজন নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি জল ও বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

এই বছরের ২১ জানুয়ারী, ৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে ঝাঁকুনি দেয়, ১৩ জন আহত হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, কিউশু উপকূলের ৪৫ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হানার পর কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

উল্লেখ্য প্রশানত্ মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারের ওপরে থাকা জাপানে ভূমিকম্প খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। তীব্র ভূমিকম্পের একটি চাপ জাপানে থাকে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত।

কিভাবে ভূমিকম্প হয়?

ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হল পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্লেটগুলির সংঘর্ষ। পৃথিবীর অভ্যন্তরে সাতটি প্লেট রয়েছে যা ক্রমাগত ঘুরতে থাকে। যখন এই প্লেটগুলি কোনও সময়ে সংঘর্ষ হয়, তখন সেখানে একটি ফল্ট লাইন জোন তৈরি হয় এবং পৃষ্ঠের কোণগুলি ভাঁজ হয়ে যায়। ভূপৃষ্ঠের কোণার কারণে, সেখানে চাপ তৈরি হয় এবং প্লেটগুলি ভাঙতে শুরু করে। এই প্লেটগুলি ভেঙে যাওয়ার কারণে, ভিতরের শক্তি বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পায়, যার কারণে পৃথিবী কেঁপে ওঠে এবং আমরা এটিকে ভূমিকম্প হিসাবে বিবেচনা করি।

ভূমিকম্পের তীব্রতা

রিখটার স্কেলে ২.০-এর কম মাত্রার ভূমিকম্পগুলিকে মাইক্রো হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় এবং অনুভব করা যায় না। রিখটার স্কেলে মাইক্রো ক্যাটাগরির ৮,০০০ ভূমিকম্প বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন রেকর্ড করা হয়। একইভাবে, ২.০ থেকে ২.৯ মাত্রার ভূমিকম্পগুলিকে গৌণ বিভাগে রাখা হয়। এমন এক হাজার ভূমিকম্প প্রতিদিন ঘটে, আমরা এমনকি এটি সাধারণত অনুভব করি না। ৩.০ থেকে ৩.৯ মাত্রার খুব হালকা ভূমিকম্প এক বছরে ৪৯ হাজার বার রেকর্ড করা হয়। তারা অনুভূত হয় কিন্তু খুব কমই কোনো ক্ষতি করে।

হালকা শ্রেণীর ভূমিকম্পগুলি ৪.০ থেকে ৪.৯ মাত্রার যা রিখটার স্কেলে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ৬২০০ বার রেকর্ড করা হয়। এই কম্পন অনুভূত হয় এবং তাদের কারণে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র নড়তে দেখা যায়। তবে, তারা খুব একটা ক্ষতি করে না।

Share this article
click me!

Latest Videos

Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
Nadia-এ ডাম্পিং গ্রউন্ড ঘিরে বিতর্ক! থানায় আটক বিজেপি বিধায়ক! দেখুন | Nadia News Today