বিশ্বের ভয়ঙ্কর প্যাথোজেনগুলিকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরী করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার মতো আর যাতে কোনও মহামারীর কবলে না পড়তে হয় বিশ্ববাসীকে তার ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখছে হু ।
করোনার মতো আর যাতে কোনও মহামারীর কবলে না পড়তে হয় বিশ্ববাসীকে তার ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার বিশ্বের ভয়ঙ্কর প্যাথোজেনগুলিকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরী করছে হু। বিশেষত তাদের পরিকল্পনা যে এই তালিকাভুক্ত প্যাথোজেনগুলির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হওয়া। যাতে পরবর্তীকালে এই প্যাথোজেন সংক্রমণ ছড়ালেও সেই সংক্রমণ যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মানুষ। ভবিষ্যতে যতই মহামারী বা অতিমারী আসুক না কেন তা যাতে কোনোভাবেই মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যেতে পারে সেই জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে হু।
হু প্রথম প্যাথোজেন তালিকা প্রকাশ করেছিল ২০১৭ সালে। ২০১৮ তেও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল আরও বেশ কিছু প্যাথোজেন। কিন্তু বর্তমান এই তালিকায় বদলে গেছে সব। বর্তমানের এই তালিকায় আছে কোভিড-১৯, ক্রিমিয়ান-কং হেমোরেজিক ফিভার, ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ এবং মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজ, লাসা জ্বর, মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্র সিন্ড্রোম এবং গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোম , নিপাহ এবং হেনিপাভাইরাল রোগ, রিফট ভ্যালি জ্বর, জিকা এবং ডিজিজ এক্স সহ অন্যান্যপি আরও অনেক প্যাথোজেন।
আবার মহামারী সৃষ্টি করতে পারে এমন প্যাথোজেনগুলি নিয়েও একটি আলাদা তালিকা গঠন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে এক্স। হু সারা পৃথিবী খুঁজে প্রায় ৩০০ টিরও বেই বিজ্ঞানী এনেছেন যারা এই ডিসিস এক্স ও অন্যান্য আরও ২৫ টা নতুন ভাইরা পরিবার নিয়ে গবেষণা করবে।
ডাঃ মাইকেল রায়ান, ডব্লিউএইচওর হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বলেছেন যে এই প্যাথোজেনের তালিকা তাদের টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়তা করবে।