৬০ মিটার গভীর জলের নিচে পরিত্যক্ত শহর
আছে গাছপালা, বাথরুম, লাইব্রেরির মতো সুবিধা
এটাই বিশ্বের গভীরতম ডিপ ডাইভ সুইমিং পুল
সর্বোচ্চ ভবন, বৃহত্তম শপিং মল-এর পর দুবাই-এর নয়া আকর্ষণ
৬০ মিটার গভীর জলের নিচে আস্ত একটা পরিত্যক্ত শহর! সর্বোচ্চ বিশ্বের ভবন, বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল-এর পর আরব আমিরশাহির রাজধানী দুবাই-এর নয়া আকর্ষণ হল এই রেকর্ড গড়া বিশ্বের গভীরতম ডিপ ডাইভ সুইমিং পুল। বিশ্বের অন্য যে কোনও ডাইভিং পুলের চেয়ে এটি অন্তত ১৫ মিটার গভীরতর এবং অন্তত চারগুণ বড়। গত ২ জুন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এই পুলটিকে 'গভীরতম ডাইভিং সুইমিং পুল' হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে শুধু গভীরতাই পুলটির একমাত্র বৈশিষ্ট নয়। আয়তনেও এটি তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। শুধুমাত্র ফ্লোর এরিয়াই ৫,০০০ বর্গমিটারের। জল রয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ লিটার। জলের তাপমাত্রা সবসময় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখা হয়। সমুদ্রে যেমন স্কুবা ডাইভিং-এর সুবিধা থাকে অনেক জায়গায়, তেমনই স্কুবা ডাইভিং করা যাবে, 'পার্ল ডাইভিং পুল' নামে এই ডিপ ডাইভ পুলটিতে। এই পুলি তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল প্রশিক্ষণ এবং বিনোদন। আর বিনোদনের জন্য়ই এই ডিপ ডাইভ পুলটি তৈরি করা হয়েছে একটি ডুবে যাওয়া পরিত্যক্ত শহরের আদলে। জলের নিচে রয়েছে গাছ, বাথরুম, লাইব্রেরির মতো সুবিধা।
পুলটি উৎসর্গ করা হয়েছে দুবাইয়ের শাহজাদা, শেখ হামদান বিন মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম-এর নামে। ৭ জুলাই পুলটির উদ্বোধন করেন শেখ হামদান। তিনি টুইটারে এই পুলটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, '৬০ মিটার (১৯6 ফুট) গভীরতার বিশ্বের গভীরতম পুল ডিপ ডাইভ দুবাইতে আপনার জন্য সম্পূর্ণ একটা অন্য জগৎ অপেক্ষা করছে'। বস্তুত তিনি যে ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করেছেন, তা দেখলে মনে হতেই পারে, সত্য়িই বোধহয় পৃথিবী ছেড়ে একটা অন্য একটা জগতে চলে গিয়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন - করোনাবিধি শিকেয়, 'রানি'-কে দেখতে ভিড় সাধারণের
আরও পড়ুন - উদ্ধার ৪৯টি দগ্ধ দেহ, আগুন এড়াতে মরণঝাঁপ ৩ জনের, বেশিরভাগই শিশু - চরম বিপর্যয় বাংলাদেশে
আরও পড়ুন - অলিম্পিকে দর্শক শূন্য টোকিও, করোনা আতঙ্কে জারি জরুরি অবস্থা
ডিপ ডাইভ দুবাইয়ের ডিরেক্টর জারোদ জাবলোনস্কি জানিয়েছেন, পেশাদার ডাইভারদের পাশাপাশি অপেশাদাররাও এখানে 'একটি অত্যাশ্চর্য ডুবে থাকা শহর' ঘুরে দেখতে পারবেন। তিনি আরও বলেছেন বিশ্বে বেশ কয়েকটি গভীর ডাইভ পুল রয়েছে, তবে দুবাই-এর এই গভীরতম পুলটির আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে এই ডুবে যাওয়া নগরীই। তাঁর দাবি, যেভাবে জলস্তর বাড়ছে, তাতে হয়ত ভবিষ্যতে বিশ্বের শহরগুলি এরকমই দেখতে হবে। তার একটা নমুনা আগেই দেখতে পাবেন দর্শকরা। এই পরিষেবা অবশ্য, এখনও সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। আপাতত, আমন্ত্রিতরাই এর মজা নিতে পারবেন, তবে এই বছরের শেষদিকেই দুবাইয়ের এই নয়া আকর্ষণ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে।