১৫ জুন বিশ্ব বায়ু দিবস
এই দিনটির গুরুত্ব কী
কবে থেকে শুরু হল এই দিবস উদযাপন
জেনে নিন সবকিছু
১৫ জুন তারিখটি সারা বিশ্বে পালিত হয়, বিশ্ব বায়ু দিবস (World Wind Day) হিসাবে। অপ্রচলিত শক্তি হিসাবে বায়ু শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সকলকে উত্সাহিত করার উদ্দেশ্যেই পালিক হয় এই দিনটি। মানব সভ্যতার বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জেরে ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে দ্রুত বদলে যাচ্ছে জলবায়ু, যা মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় দিনকে দিন গুরুত্ব বাড়ছে জল, বায়ু ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক অপ্রচলিত শক্তির। প্রকৃতিকে ধ্বংস না করে, বরং তার বিভিন্ন শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই দিকেই মন দিচ্ছে বিজ্ঞান। বায়ুর শক্তি এবং কীভাবে এই শক্তিকে কাজে লাগানো যায় - সেই সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই পালন করা হয় বিশ্ব বায়ু দিবস। শুধু তাই নয়, এই দিনে এই অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের সুবিধা এবং এখনও পর্যন্ত এই শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, সেই বিষয়গুলিও পর্যবেক্ষণ করা হয়।
'উইন্ডইউরোপ' (WindEurope) সংস্থা জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার বায়ুশক্তিই এখন বিশ্বের, বিশেষ করে ইউরোপের সবথেকে সস্তা শক্তি। বড় বড় উইন্ড টারবাইন ব্যবহার করে বায়ুশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপপান্তরিত করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলেই, বর্তমানে বাতাসের শক্তিকে কাজে লাগাতে এই বিশাল বিশাল টারবাইন ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। ভারতেও এই বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালেই অপ্রচলিত শক্তি বিষয়ক এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উইন্ড টারবাইন থেকে অক্সিজেন প্রস্তুত করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে বায়ুশক্তি সংস্থাগুলিকে ভাবনা-চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - রহস্য বাড়ছে ধৃত চিনা যুবককে ঘিরে - শরীরে কি লুকোনো গোপন যন্ত্র, হবে বডিস্ক্যান
২০০৭ সালের ১৫ জুন প্রথম বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনন করা হয়েছিল। তবে তখন তা ছিল শুধুই 'বায়ু দিবস'। দুই বছর পর, ২০০৯ সালে বর্তমান নামটি দেওয়া হয়। অপ্রচলিত শক্তি হিসাবে বায়ুশক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনকতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আলাদাভাবে একটি দিন উৎসর্গ করার ভাবনাটি ছিল ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন-এর মস্তিষ্কপ্রসূত। এই গোষ্ঠীর সদস্য ইউরোপের ১৮টি দেশ। সেইবছর প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ এই দিনটি উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে, এখন আর এই দিনটি ইউরোপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতি বছরই আরও বেশি বেশি দেশ, আরও বেশি মানুষ এই অপ্রচলিত শক্তি আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। এই শক্তিকেই বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের শক্তি।