• কাল আইপিএলে ফের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ও মুম্বই
• কার্তিকের বদলে নতুন অধিনায়ক হয়েছিলেন মরগ্যান
• তাতে ভাগ্য বদলালো না কেকেআর শিবিরের
• টানা দুই ম্যাচ হেরে চাপে কলকাতা
নাইটদের নতুন অধিনায়ক-
গতকাল দুপুরেই জানা হয়ে গিয়েছিল যে দীনেশ কার্তিক অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন। তার জায়গায় অধিনায়ক হচ্ছেন ইয়ন মরগ্যান। যদিও প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক বদলের কোনও সুফল চোখে পড়েনি।
গুরুত্বহীন টস-
অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই টস যেতেন মরগ্যান। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ম্যাচের পরে অনেক সমর্থকই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জঘন্য নাইট টপঅর্ডার-
ট্রেন্ট বোল্ট, কুল্টার নাইল, যশপ্রীত বুমরা সমৃদ্ধ বোলিং লাইন আপের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে নাইট রাইডার্স ব্যাটিং। ৬১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল নাইটরা।
অধিনায়কোচিত ইনিংস মরগ্যানের-
দলের বিপদের দিনে ঠান্ডা মাথায় নিজের ইনিংসকে সাজান মরগ্যান। প্রথমে ধীরে চলো নীতি নিয়ে ডেথ ওভারে মুম্বই বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন তিনি। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩৯ রান করে।
ব্যাট হাতে বিধ্বংসী কামিন্স-
একসময় দ্রুত উইকেট হারিয়ে অল আউটের আশঙ্কা গ্রাস করেছিল কেকেআর শিবিরকে। এই সময় ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ান কামিন্স। চলতি টুর্নামেন্টে বল হাতের চেয়েও ব্যাট হাতে কেকেআরের হয়ে স্বচ্ছন্দ্য দেখাচ্ছে অজি পেসারকে। কাল ৩৬ বলে করলেন ৫৩ রান।
বোলিংয়ে উন্নতি মুম্বইয়ের-
কাল বল হাতে নবাগত কুল্টার নাইল বাদ দিয়ে সফল সকল মুম্বই বোলাররা। তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সফল লেগস্পিনার রাহুল চাহার। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে দিনেশ কার্তিক ও শুভমান গিলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি।
নাইটদের ভরসা চক্রবর্তী-
কাল একমাত্র নাইট বোলার হিসাবে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। বাকি বোলাররা কোনরকম প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন।
ব্যর্থ রোহিত শর্মা-
কাল শুরুটা মন্দ হয়নি। কিন্তু ইনিংস যত গড়ায় তত ছন্দ হাতড়াতে থাকেন রোহিত শর্মা। শেষপর্যন্ত শিবম মাভির বলে উইকেটকিপার কে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ৩৬ বল খেলে করেন মাত্র ৩৫ রান।
মারকুটে ডি কক-
কাল মুম্বই ইনিংসের শুরু থেকে শেষ অবধি কেকেআর বোলিংকে তুলধোনা করে ব্যাটিং করেন কুইন্টন ডি কক। কামিন্স থেকে মাভি, প্রত্যেককেই তার ব্যাটে বেদম মার খেতে হয়। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৭৮ রান করে।
শীর্ষে মুম্বই-
এই জয়ের ফলে আরও একবার শীর্ষস্থান দখল করলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টানা দুটি ম্যাচ হেরে ৪ নম্বরে নেমে গেল কেকেআর। যদিও প্লে অফের রাস্তা এখনও বিশাল কিছু কঠিন নয় তাদের কাছে।