সহজে জেতা ম্যাচ কীভাবে বিপক্ষ দলকে উপহার হিসেবে দিয়ে আসতে হয়, মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তা করে দেখাল কলকাতা নাইট রাইডডার্স। এবারও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স গাঁট পেরোতে পারল না ইয়ন মর্গ্যানের দল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৫২ রান করে মুম্বই। সূর্যকুমার যাদব ৫৬ ও রোহিত শর্মা ৪৩ রান করা ছাড়া কেউ তেমনভাবে বড় রান পায়নি। কেকেআরের হয়ে ৫ উইকেট নেন রাসেল। অপরদিকে রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য ব্য়াট করেন রানা ও গিল। রানা হাফ সেঞ্চুরিও কেরষ ১৫ ওভার পর্যন্ত কেউ ভাবতেও পারেনি ম্যাচ হারতে পারে কেকেআর। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে নায়ক হওয়ার ম্যাচের দিনই, ব্যাট হাতে দলকে সহজ জয় এনে না দিতে পেরে খলনায়ক বনে গেলেন আন্দ্রে রাসেল।
আরও পড়ুনঃ 'হার্ট অ্যাটাকের' সম্ভাবনা থেকে একটুর জন্য বাঁচলেন প্রীতি জিন্টা, কারণটা কী
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। এদিন ক্রিস লিনের জায়গায় দলে ফেরেন কুইন্টন ডিকক। কিন্তু শুরুতেই বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর মুম্বই ইনিংসের রাশ ধরেন রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। রোহিত এক দিক থেকে ধরে থাকলেও, অপরদিক থেকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে সূর্যকুমার। ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর আউট হন সূর্যকুমার। ৩৬ বলে ৫৬ রান করে শাকিব আল হাসানের শিকার হন তিনি। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরই ক্রিজে এসে আউট হন ইশান কিষাণ। ১ রান করেন তিনি। এরপর রোহিত শর্মা ৪৩ রানে আউট হওয়ার পর ধস নামে মুম্বই ইনিংসে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। ১৫ রান করেন তিনি। এরপর ২ ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে মুম্বইরে অল আউট করে দেন রাসেল। এছাড়াও ২টি উইকেট পান কামিন্স ও একটি করে উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী, শাকিব আল হাসান ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ১৫২ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস।
আরও পড়ুনঃ অদেখা বিকিনি ফটোশুটে আইপিএল গরম করলেন হার্দিক পত্নী নতাসা, যা দেখে ঘাম ছুটছে নেটিজেনদের
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করে নীতিশ রানা ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে ৮.৫ ওভারে ৭২ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। দুই তরুণ তারকাই বশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন। ৩৩ রান করে শুভমান গিল আউট হন শুভমান গিল। এদি ন এসেই আউট হয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠীও। এরপর এক দিক থেকে রানা নিজের ইনিংস চালিয়ে গেলেও অপরদিক থেকে ধস নামে কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান করেন রানা। কিন্তু রানা ৫৭ রান করে আউট হওয়ার পরও একসময় ৩০ বলে ৩২ রান বাকি ছিল কেকেআরের। কিন্তু শেষে দিকে ব্যর্থ হন মর্গ্যান, শাকিব, দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেলরা। শেষের দিকে সহজে জেতা ম্য়াচ ১৫ বলে ৯ ও ১১ বলে ৮ রান করে হাতছাড়া করেন ডিকে ও রাসেল। শেষ রাসেল ও কামিন্স আউট হলেও, ম্যাচ বার করতে পারেনি ডিকে। কেকেআরের ইনিংস শেষ হয় ১৪২ রানে। একসময় হাতছাড়া হওয়া ম্যাচ ১০ রানে জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বইয়ের হয়ে ৪ উইকেট নেন রাহুল চাহর, ২টি উইকেট নেন বোল্ট ও একটি উইকেট নেন ক্রণাল পান্ডিয়া। কেকেআরে বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক ও আইপিএল ২০২১-এ জয়ের ফিরে খুশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।