অবশেষে ধোনির হাতেই থামল বিরাটের 'অশ্বমেধের ঘোড়া'। আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান দখল করল চেন্নাই সুপার কিংস। একইসঙ্গে টানা চার ম্য়াচ জিতল ধোনির দল। ম্যাচে সিএসকে প্রথমে ব্য়াট করে ১৯১ রান করে। সিএসকের হয়ে অনবদ্য ইনিংস খেলেন ফাফ ডুপ্লেসি ও রবীন্দ্র জাদেজা। জবাবে সিএসকের বোলিং অ্যাটাকের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে আরসিবির ইনিংস। ১২২ রানে থামে বিরাট কোহলির দল। বল হাতেও নিজের ক্যারিশমা দেখান জাড্ডু।
এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেনে এমএস ধোনি। ওপেনিংয়ে দুরন্ত শুরু করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। ৭৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ৩৩ রান করে আউট হন রুতুরাজ। এরপর সুরেশ রায়না এসে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান ফাফ ডুপ্লেসি। হাফ সেঞ্চুরির করার পর আউট হন প্রোটিয়া তারকা। রায়ডু ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও, শেষে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ২৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে হার্সল প্যাটেলের বলে ৩৭ রান নেন তিনি। মারেন ৫টিছক্কা ও একটি চার। ২০ ওভারে আরসিবিকে ১৯২ রানের টার্গেট দেয় তিনবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িকল। ৩ ওভারে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। কিন্তু কোহলি ও পাড়িকল ফিরতেই আর কোনও আরসিবি ব্য়াটসম্যান জাদেজা ও তাহিরের স্পিনের ছোবলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্য়াচ হাতের বাইরে চলে যায় আরসিবির। শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে কোহলির দল। সিএসকের হয়ে ৩টি উইকেট পান জাদেজা ও ২টি উইকেট পান তাহির। একটি করে উইকেট পান স্যাম কারন ও শার্দুল ঠাকুর। ম্যাচে ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরমেন্সের জেরে সেরা নির্বাচিত হন জাড্ডু। এই জয়ের ফলে আরসিবিকে সরিয়ে শার্ষস্থান দখল করল সিএসকে।