গতকালই মারমুখী জনতার হাত থেকে মিশনের মহারাজকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে নিউটাউন টেকনো সিটি থানার পুলিশ। শনিবার তাকে বারাসাত আদালতে তোলা হয় পুলিশের তরফে।
রামকৃষ্ণ মিশনের রাঁধুনি মৃত্যুর ঘটনায় গতকালই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নিউটাউনের (Newtown) নতুন পুকুর এলাকায়। ওই এলাকাতেই থাকা রামকৃষ্ণ মিশন (Ramkrishna Mission) থেকে উদ্ধার হয় রাঁধুনি রোহিত হালদারের ঝুলন্ত দেহ। তার বাড়ি সোনারপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিশনেরই মহারাজ মেরে ফেলেছে ওই রাঁধুনিকে। এদিকে গতকালই মারমুখী জনতার হাত থেকে মিশনের মহারাজকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে নিউটাউন টেকনো সিটি থানার পুলিশ। শনিবার তাকে বারাসাত আদালতে তোলা হয় পুলিশের তরফে।
ধৃত ওই মহারাজের নাম স্বামী হরিমায়া নন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে টেকনোসিটি থানার পুলিস । এদিনই ধৃত স্বামী হরিমায়া নন্দকে বারাসাত সিজিএম আদালতে হাজির করা হয়। দু'পক্ষেরই বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি ধৃত স্বামীজীর আইনজীবীদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন। ধৃত স্বামী হরিমায়া নন্দকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ১১ ই ফেব্রুয়ারি পুনরায় আদালতে হাজির করা হবে তাঁকে। এদিকে গতকালের ঘটনার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন-কলকাতা পৌরসভার একাধিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ, তোপ রাজ্যপালকেও
আরও পড়ুন- ভেস্তে গেল কংগ্রেসের সাথে জোট, ইংরেজবাজার পৌরসভাতেও একলা চলো-র ডাক বামেদের
এদিকে গতকাল যেসময় ওই রাঁধুনির মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেই সময় পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় অভিযুক্ত মহারাজকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশ্রমের মহারাজ রাঁধুনির উপর অত্যাচার করতেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী মহারাজ সহ আশ্রমের কয়েকজন।গোটা বিষয়টিকে নিয়ে শুক্রবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নিউটাউনের নতুন পুকুর এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশও। রাত পর্যন্ত থাকে উত্তেজনা। শুক্রবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ওই মহারাজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। রাতেই মহারাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর এদিনই তাকে তোলা হয় আদালতে।
আরও পড়ুন- কতবার ধর্ম বদলেছেন কবীর সুমন, তাঁর কর্মকাণ্ডকে আদৌও কী মান্যতা দেয় ইসলাম ধর্ম