সংক্ষিপ্ত
ইংরেজবাজার পৌরসভায় ভেস্তে গেল বাম কংগ্রেসের জোট। যদিও জোট নিয়ে যে দুই শিবিরেরে নেতারা হাজার আলাপ-আলোচনার পরেও ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছিলেন না তা আগেই শোনা গিয়েছিল।
কলকাতা পৌরসভায় ভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভা গুলিতেও ধীরে ধীরে বাজতে শুরু করেছে ভোটের দামামা। আগামী মাসেই ভোট রয়েছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ চার পুরনিগমে। কিন্তু এরইমাঝে ইংরেজবাজার পৌরসভায় ভেস্তে গেল বাম কংগ্রেসের জোট(alliance of Left Congress was ruined in Englishbazar municipality)। যদিও জোট নিয়ে যে দুই শিবিরেরে নেতারা হাজার আলাপ-আলোচনার পরেও ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছিলেন না তা আগেই শোনা গিয়েছিল। অবশেষে জোট উপেক্ষা করেই বামফ্রন্ট ১৬ টি আসনে প্রার্থী (CPIM candidate for 16 seats) ঘোষণা করে দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ১৩ টি আসনেরও প্রার্থী (Candidates for 13 seats) ঘোষণা হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও বামেদের এই সিদ্ধান্তকে হটকারী বলেই দাবি করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেসের এই সমনীকরণকে আপাতত গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। এদিকে শুক্রবার একটি পথসভার মাধ্যমে বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। ইংলিশ বাজারের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় পথসভা করে বামফ্রন্ট। সেই সভা থেকে ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। প্রার্থী তালিকায় তরুন প্রজন্মকে ফের একবার প্রাধান্য দিয়েছে বামেরা। এমনকি রেড ভলেন্টিয়ার কর্মীদের করা হয়েছে প্রার্থী। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ১৩ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে দাবি করেছে বামফ্রন্ট নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন- 'কমিউনিস্টরা কাউকে ওপরে উঠতে দেয়নি, বুদ্ধদেবকেও পদ্মশ্রী নিতে দিল না', বিস্ফোরক দিলীপ
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "কংগ্রেসের তরফ থেকে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও বার্তা আসেনি। বামেরাও কোন বার্তা দেয়নি। এবারে বামফ্রন্টগত ভাবেই লড়াই করতে চায় বামেরা। কেবলমাত্র ইংরেজবাজার পৌরসভা নয় পুরাতন মালদা পৌরসভাতেও বামফ্রন্টগত ভাবে লড়াই করতে চাই আমরা।" যদিও বামেদের এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে আসন সমঝোতার বিষয়ে বামেদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রণব ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে আন্দোলন, ABVP-SFI-র জোড়া মিছিলে উত্তপ্ত কলেজ স্ট্রিট
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আসন সমঝোতা না হওয়ায় সুবিধা পাবে শাসক দল।" যদিও এই জোট ভেস্তে যাওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, "পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে বাম-কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। ফলে জোট হোক অথবা না হোক তাতে বিজেপির কিছু যায় আসে না। মানুষ বিজেপির সাথে রয়েছে।" এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সরকার বলেন, "পশ্চিমবাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সাথে রয়েছেন। বাম কংগ্রেস জোট করে আদতে বিজেপিকে সাহায্য করতে চেয়েছিল তা সফল হয়নি। এখন জোট না করে আবার নাটক করছেন। মালদার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের সাথে রয়েছেন তাই ইংরেজবাজার পৌরসভায় তৃণমূল- কংগ্রেস পুনরায় ক্ষমতায় আসবে।"
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক, প্রচারে দেওয়াল লিখন শুরু বামেদের