কলকাতা পুরনিগমের আর্থিক সঙ্কট মেটাতে সাহায্য করুক শিল্পপতিরা, আহ্বান অতীন ঘোষের

কলকাতা পুরনিগমের ভাঁড়ারে টান পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর আজ এনিয়ে মুখ খুললেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Web Desk - ANB | Published : Jan 29, 2022 1:15 PM IST / Updated: Jan 29 2022, 06:52 PM IST

কলকাতা পুরনিগমে (Kolkata Municipal Corporation) চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। টান পড়ছে ভাঁড়ারে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে পুরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের (Retired Person) পেনশন (Pension) আটকে রয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে অবসরকালীন সুবিধা ও পেনশনের টাকা পাচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। একথা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। আর আজ এনিয়ে মুখ খুললেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টাউনহলে (Town Hall) নতুন কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই শিল্পপতিদের কাছে সাহায্য চান তিনি। 

একটি নোটিসকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত
পুরনিগমের মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি নোটিস (Notice) দেখা যায়। সেখানে লেখা রয়েছে ক্রাইসিস অব ফান্ড (Crisis of Fund) অর্থাৎ টাকা নেই পুরনিগমের ভাঁড়ারে। আর সেই কারণেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতে পারছেন না কলকাতা পুরনিগম। এদিকে এই নোটিস দেখার পর রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের পেনশন আটকে রয়েছে। ফলে কবে তা পাবেন তাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। প্রাথমিকভাবে টাকার অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। তিনি বলেন, "আমাদের ফিন্যান্সের একটু অসুবিধা রয়েছে। অনেক জায়গায় টাকা আটকে রয়েছে। কয়েদিনের মধ্যে আমরা ঠিক করে দেব।"

আরও পড়ুন- আজব নোটিশের গজব কাহিনি, করোনা পরিস্থিতিতে নাকি পুরসভার কর্মীরা বেতন ও পেনশন পাবেন না, কী বলছেন মেয়র

ফিরহাদের বক্তব্য 
শুক্রবার টাউন হলে (Town Hall) কলকাতা পুরনিগমের মাসিক অধিবেশনে ফিরহাদ বলেছিলেন, "কলকাতা পুরসভার অনেক দেনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনৈতিক চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পুরনিগম। এই পরিস্থিতিতে মৃত কাউন্সিলরদের সম্মান জানানোর জন্য পেনশন দেওয়ার যে দাবি আসছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তাই ইচ্ছা থাকলেও আমরা অনেক কাজই করতে পারছি না।"

আরও পড়ুন- স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু প্রধানশিক্ষকের, ভিডিও ভাইরাল হতে অভিযোগ দায়ের

শনিবার ফিরহাদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, "কলকাতা পুরসভায় চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। এই ছবি দেশের বিভিন্ন পুরসভাতেই দেখতে পাওয়া যায়। আর সেক্ষেত্রে শিল্পপতিরা এগিয়ে যান। তাঁরা আর্থিকভাবে সাহায্য করেন পুরসভাকে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে এমন কোনও সংস্থান নেই।" সেই কারণে এক্ষেত্রেও শিল্পপতিদের তাঁরা এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন- কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে সম্মান, বালিগঞ্জে রাস্তার নামকরণ হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে

অতীন ঘোষের বক্তব্য

অতীন ঘোষ আরও বলেন, "মুম্বই হচ্ছে ভারতবর্ষের সবথেকে ধনী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ওরা শুধুমাত্র কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটিতে ৫৬ কোটি টাকা প্রতি বছর অনুদান পায়। এটা আমি পাঁচ বছর আগের অঙ্ক বলছি। আমরা তো কিছুই পাই না। আমাদের এখানে বড় বড় শিল্পপতিরা সিআরএসে কলকাতা পুরসভাকে কোনও টাকা দেন না। অথচ কলকাতার সমস্ত পরিষেবা তাঁরা নেন। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে উন্নত করতে বা কলকাতা পুরসভার অন্যান্য পরিষেবাকে উন্নত করতে কলকাতার শিল্পপতিদের এগিয়ে আসা উচিত। তাঁরা নিজেদের টাকা দেবেন না। ইনকাম ট্যাক্সের আইন অনুযায়ী কর্পোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটিতে তাঁরা দিতে পারেন, সেই টাকাটা কোনও এনজিওকে দেন তাঁরা।  কলকাতায় যারা সবথেকে বড় পরিষেবা দেয় কলকাতা পুরসভা, তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন।"

Share this article
click me!