বেহালার ১৯ জন কাউন্সিলারকে বিধানসভায় ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জরুরি তলব তাই নিয়ে জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শোভন সংস্পর্শ থেকে ১৯ জন কাউন্সিলরকে দূরে রাখার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবছর লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছুটা জমি দখল করেছে বিজেপি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন ধরেই তার প্রাণপ্রিয় কাননকে নিয়ে সন্দিহান। শিথিলতার কারণে ইতিমধ্যেই মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শোভন-রত্না কাজিয়া আর ব্যক্তিগত থাকেনি। বেহালার বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কে থাকতে শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে একরকম ছেঁটেই ফেলেছেন। কিন্তু তবু তিনি রয়েছেন ছায়ার মতো।
আরও পড়ুনঃ বৈশাখীকে ছাড়াই এলেন, বাড়ির দিকে ফিরে তাকালেন না শোভন
লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই শোনা গিয়েছিল শোভন বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। সেই গুঞ্জন যদিও সত্যি হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে এখনও বলাবলি চলছে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। যে কোনও দিন আসতে পারে যোগদানের সংবাদ।
এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোই জানেন বেহলা অঞ্চলে তৃণমূলের জনসংযোগের অনেকটাই শোভনের হাতে গড়া। তুখোড় নেতা শোভনকে নেতৃত্ব মেনে এসেছেন বেহালার কাউন্সিলাররা। কাজেই শোভন যদি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তাহলে তাহলে যে গোটা বেহালাটাই রাতারাতি বেদখল হয়ে যেতে পারে সেই ভয় শাসক দলের রয়েছে। সেই জন্যেই এই তৎপরতা।
কথায় বলে ঘরপোড়া গরু সিঁদূরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের পরেই ঝড় দেখেছেন। এ যাবৎ কালে ৬ টি পুরসভা দখল হয়ে গিয়েছে। এখনই এই ভাঙন রুখতে না পারলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিলক্ষণ জানেন। এই কারণেই আগাম জল মাপতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।