সংক্ষিপ্ত
- মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে মেয়র পদ ছাড়ার নির্দেশ দিলে দলের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে শোভনের।
- বরং রত্না দলের অনেক বেশি বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছেন।
রীতিমত হুমকি ছিল। বৈশাখীকে নিয়ে ভোট দিতে হবে। সব বুঝেশুনেই আর ভুলের পথে পা বাড়ালেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শেষ দফার নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে একাই এলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আগে থেকেই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন যে বৈশাখীকে নিয়ে ভোট দিতে এলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। মিডিয়ার সামনে নিজের সম্মানও খোয়াতে চাইলেন না শোভন। প্রসঙ্গত ২২ বছরের বিবাহিত জীবনে শোভন-রত্না দুজনেরই প্রথম একা ভোট দিতে যাওয়া এইবার।
সকাল থেকেই মিডিয়ার চোখ ছিল বেহালায়। অনেকেই অনুমান করেছিলেন শোভন-বৈশাখীর দেখা মিলবে। সে আশায় জল ঢেলে দিলেন শোভন। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র নিজের পুরনো বাড়ির লাগোয়া বুঝেই ভোট দিলেন বিকেল চারটে নাগাদ। ঢুকলেন না বাড়িতে।
এদিন সকালে ছেলে মেয়ের সঙ্গে ভোটের লাইনে দাঁড়ান রত্না। তাঁর জীবনে অনেক সমীকরণই বদলে গিয়েছে। বদলাল ২৩ বছরের চেনা ছবিটাও।
গত দেড় বছর ধরে বেহালার বেহালা পশ্চিমের পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের ১৩৯/ডি/এ নম্বর বাড়িতে আর থাকেন না শোভন। শ্রী রত্নার সঙ্গে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা কুৎসা ব্যক্তিগত পরিসর থেকে থেকে ক্রমেই জনসমক্ষে এসেছে। এসবের জেরেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে মেয়র পদ ছাড়ার নির্দেশ দিলে দলের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে শোভনের। বরং সূত্রের খবর রত্না দলের অনেক বেশি বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছেন। এদিন ফোনেও তাঁর গলায় ধরা পড়ল সেই আত্মবিশ্বাস। এশিয়ানেট নিউজবাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে বললেন, ১৩১ নং ওয়ার্ড থেকে এবারও রেকর্ড মার্জিনে লিড যাবে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে।
দু'জনের মুখ দেখাদেখি প্রায়বন্ধ, তবু প্রতিযোগিতা সম্পর্ক একটা রইলই, সৌজন্যে ভোটদেবতা।