শহরে জাল আধারকার্ডকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন বাংলাদেশি। পুরভোটের দোরগড়ায় ধৃতদের থেকে প্রচুর সংখ্যক আধারকার্ড উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
শহরে জাল আধারকার্ডকাণ্ডে (Adhar Card Crime) গ্রেফতার আরও তিন বাংলাদেশি। পুরভোটের দোরগড়ায় ধৃতদের থেকে প্রচুর সংখ্যক আধারকার্ড উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Kolkata Police)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর আনন্দপুর থানা এলাকায় গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মোট ২১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁদের আটক করে পুলিশ। কী কারণে তাঁরা কলকাতায় এসেছে, এরপরেই চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কলকাতা থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্য়ে ১৭ জনের কাছ থেকে কোনও বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ থেকে তাঁরা অবৈধভাবে কলকাতায় এসে থাকত বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। কলকাতা থেকে ইতিমধ্যেই ২১ জনকে আটক করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের কাছে রয়েছে ভুয়ো নথিপত্র। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদতে উত্তরপ্রদেশে মানবপাচারের একটি অভিযোগের সূত্র ধরেই এই ১৭ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকায় এই অবৈধ ঘটনা এই প্রথমবার নয়। এর আগেও অপরাধ সংক্রান্ত একাধিক ঘটনায় গুলশন কলোনির নাম সামনে এসেছে । যদিও কলকাতা পুলিশের কার্যকলাপ রুখতে এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। নতুন কোনও ভাড়াটে এলে তা পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন, Roopa Ganguly on Tista Biswas: 'দল আমাকে সাসপেন্ড করতে পারে', তিস্তা ইস্যুতে বিস্ফোরক রূপা
দিন কয়েক আগেই উত্তর প্রদেশের জঙ্গি দমন শাখার তরফে লালবাজারে মেহফুজুর সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। খবর আসে, মাহফুজুর কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে। তার গতিবিধি সম্পর্কে নজর রাখতে বলা হয়েছিল। তারপরই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্র ধরে এদিন গুলশন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় উত্তর প্রদেশের এটিএস ও কলকাতা পুলিশের একটি দল। তদন্তকারীদের দাবি একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাহফুজুর। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আবাধে যাতায়াত করেছিল সে। তবে সে ঠিক কতদিন আগে ভারতে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে খুব তাড়াতাড়ি ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তর প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দাবিভাগ।