আজই আদালতে ধৃত ৩, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এরাই দেবাঞ্জনের অন্যতম সহযোগী

  • ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে আরও জন 
  •  এরাই দেবাঞ্জনের অন্যতম সহযোগী ছিল
  • শনিবার তাঁদের আলিপুর কোর্টে তোলা হবে 
  • আরও ৩ টি অভিযোগ দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে 

Ritam Talukder | Published : Jun 26, 2021 9:10 AM IST / Updated: Jun 27 2021, 11:43 AM IST


কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে আরও জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকের দেবাঞ্জনের সহযোগী। শনিবার তাঁদের আলিপুর কোর্টে তোলা হবে। এদিকে কসবা থানায় আরও ৩ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্যে পর্দাফাঁস দেবাঞ্জনের  

 


পুলিশ সূত্রে খবর, বছরর চুয়াল্লিশের শান্তনু মান্না নামে তালতলা থানা এলাকার এক ব্যাক্তি রয়েছেন। দেবাঞ্জন দেবের হয়ে ভুয়ো ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্প আয়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করত অভিযুক্ত। তালতলায় দেবাঞ্জনের ওষুধের গোডাউনের দেখাশোনার কাজ করত শান্তনুই। এবং বাকি দুজনের নাম সুশান্ত দাস এবং রবিন সিকদার । দুজনের বয়েস যথাক্রমে ৫৪ বছর এবং ৩১ বছর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভার নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খোলার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার জন্য একটি ১৩ জনের টিমও ছিল দেবাঞ্জনের। তাঁদেরকে দিয়ে পুরো কাজটা চালাত কসবাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, ধৃত দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় আরও ৩ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টিকাকরণের নামে একটি বেসরকারি সংস্থার প্রায় ১.২ লক্ষ টাকা হাতানো, স্টেডিয়ামের বরাত নেওয়ার নামে ৯০ লক্ষ টাকা নেওয়া এবং একটি ওষুধ কোম্পনিকে টেন্ডার পাইয়ে দেবার নামে ৪ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন, ১০ বছরেও মেলেনি সরকারি ঘর, বর্ষায় ভেসে যাওয়ার দশা, প্রতিবাদে 'নগ্ন' হলেন ছোটু 

প্রসঙ্গত,ভুয়ো আইএএস সেজে জেনেটিক্সে এমএসসি পাশ করা দেবাঞ্জন দেব কসবায় একটি ভুয়ো ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন। যেখানে মূলত তৃতীয় লিঙ্গ সহ প্রতিবন্দি, স্থানীয়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার আয়োজন করা হয়। উৎসাহিত করতে আমন্ত্রিত করা হয় অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। এসে ভ্যাকসিন নেন এবং প্রমোট করেন পুরো অনুষ্ঠানটি মিমি। এই অবধি ঠিকই ছিল, তবে শেষ অবধি পার পেলেন না। বুদ্ধি করে অপরাধের গুটি সাজিয়েও ধরা পড়ে যান দেবাঞ্জন। ভ্য়াকসিনের সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ায় মিমির অফিসের লোক খোঁজ করে কসবার ক্যাম্পে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।  কলকাতা পুলিশের হাত ধরে প্রকাশ্য়ে আসে দেবাঞ্জনের অন্তহীন অপরাধের লিস্ট।  

 

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে 

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

Share this article
click me!