সিঁথিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই ছো্ট্টো সাত সারমেয়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডটি হয়েছে উত্তর কলকাতার সিঁথির র রামলীলাবাগান এলাকায়।
শহরে ফের ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। সিঁথিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই ছো্ট্টো সাত সারমেয় (Dog)। উদভ্রান্তের মতো খুঁজতে তাঁদের মা। এখনও তো তাঁদের দুঁধের বাচ্চা। লেলিহান শিখায় আটকে জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়ার সময় অনেক যন্ত্রনা পেলেও বলে যেতে পারেনি অবলার দল। চোখ ভিজে এসেছে বোধয় মা সারমেয়। এত ব্যাথা কাকে বলবে সে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডটি হয়েছে উত্তর কলকাতার সিঁথির (North Kolkata Sinthi Area) রামলীলাবাগান এলাকার একটি টালি দেওয়া বাড়িতে।
সোমবার সকালেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকাই উত্তর কলকাতার সিঁথির একটি টালি দেওয়া বাড়িতে আগুন লাগে। কালো ধোয়ায় ভরে যায় চারিদিক। এদিকে গ্যাস সিলিন্ডারের মতো দাহ্য বস্তু থাকায় মুহূর্তেই লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে সারা বাড়িতে। আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, পাশের একটি বাড়ির একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রাই। কিন্তু পরিস্থতি হাতের বাইরে যেতেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের ২ টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে ঘন্টাখানেকের মধ্যে ততক্ষণে পুড়ে ছাই সেই বাড়ির সব কিছু।আর সেই আগুনেই পুড়ে ছাই ৭ কুকুরছানাও। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, শহরে চলতি বছরে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কলকাতায় এর আগে অসংখ্যবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। সব সুরক্ষা বিধি আদৌ মানা হচ্ছে কি না, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের রেস্তরাঁ সহ বহুতলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, এ নিয়েও প্রশ্নও উঠছে। সবথেকে বড় বিষয় হল এলাকাগুলি ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে আরও বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হয় দমকলের। সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে তপসিয়ায় আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় একের পর এক ঘর। তপসিয়া ২৪ নং বাসস্ট্য়ান্ডের কাছে মজদূর পাড়ায় একটি বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। একাধিক ঝুপড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন ছড়াতে বেশি সুবিধা হয়। তার উপর সেদিন ছিল উত্তর হাওয়া, যার জেরে আরও উসকে যায় আগুন।
উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার সিঁথির রামলীলাবাগান এলাকায় ওই টালির বাড়িতে ৭ সন্তানকে নিয়ে বাসা বেধে ছিল মা সারমেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘরে থাকা আসবাব জামাকাপড় সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেরোতে পারেনি ওই ছোট কুকুর ছানাগুলিও। আগুনেই ভস্মীভূত হয়ে যায় তাঁরা। পুড়ে যাওয়া বাড়ির মাঝেই সকাল থেকে সে খুঁজে বেড়াচ্ছে সন্তানদের। বেলা গড়াতেই হয়তো সে বুঝতে পেরেছে, চিরতরে হারিয়েছে তাঁর প্রাণের সন্তানদের।