দীর্ঘ পথ হেঁটেও মিলল না সন্তানের ওষুধ, দম্পতিকে সাহায্য়ের হাত এগিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ

  • করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে চলছে লকডাউন 
  • এদিকে সন্তানের ওষুধ কিনতে বেরিয়ে নাকাল মা-বাবা 
  •  দীর্ঘ সাত কিমি পায়ে হেঁটে পৌছালেন তারাতলা মোড় 
  • অবশেষে বিপদে সাহায্য়ের হাত এগিয়ে দিল পুলিশ 
     

Ritam Talukder | Published : Mar 30, 2020 7:58 AM IST


করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউনে শুধুমাত্র খোলা রয়েছে জরুরী পরিষেবা। এদিকে করোনা আতঙ্কের জেরে অনেক জরুরী পরিষেবার লোকজনও আতঙ্কে দোকানপাঠ বন্ধ করে বসে আছে। যদি ক্রেতার থেকে আক্রান্ত হয়, সেই আতঙ্কে বাইরে আসছেন না। যার জেরে জরুরী পরিষেবা খানিকটা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে অসুবিধায় পড়েছে সাধারন মানুষ। তবে এরই মধ্য়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে  লক ডাউনের মধ্যেই অসুস্থ একটি শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আবারও নজির করল সৃষ্টি করলো কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন, রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২


 লকডাউন এর ফলে গাড়ি  সব বন্ধ অসুস্থ বাচ্চার ওষুধ কিনতে পারছেন না বাবা-মা ।স্থানীয় কোন দোকানে মিলছে না ওষুধ লিভারের সমস্যায় জন্মের পর থেকেই  ভুগছে তার  ছোট্ট সন্তানটি। শেষমেষ পায়ে হেঁটেই ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিল বাবা ও মা। বেহালা  অঞ্চলে বাড়ি ঠাকুরপুকুর বেহালা কোন দোকানে মেলেনি সেই ওষুধ। শেষমেষ পায়ে হেটেই ঠাকুর পুকুর থেকে তারাতলা মোড় অবধি দীর্ঘ সাত কিলোমিটার অতিক্রম করেন। এরপর তারাতলা মোড়ে তাদেরকে আটকান সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত সার্জেন্ট প্রসেনজিৎ মুখার্জি।

আরও পড়ুন, একই দিনে রাজ্য়ে আক্রান্ত তিন, করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ২১


লকডাউনে বাইরে ঘোরার কারণ জিজ্ঞেস করেন কর্তব্যরত ওই সার্জেন্ট।  ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না এটা জানতেই প্রসেনজিৎবাবু সঙ্গে সঙ্গে  ফোন করেন  পাক সার্কাসের কাছে কোনও  একটি ওষুধের দোকানে। খবর মেলে ওষুধটি সেখানে পাওয়া  যাবে। তারপর নিজের লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে সেই ওষুধ সংগ্রহ করে নজির গড়লেন এবং সেই ওষুধ অসুস্থ বাচ্চাটির বাবা মার হাতে তুলে দিলেন। ওষুধ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষন খুশি এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেও তারা ভোলেননি।

রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২

জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা

ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা

Share this article
click me!