সংক্ষিপ্ত

  • করোনা প্রৌঢ় সল্টলেকের হাসপাতালে ভর্তি 
  • পরিবারকে পাঠানো হয়েছে  কোয়ারেন্টাইনে  
  • জ্বরকে গুরুত্ব না দিয়েই লাগাতার ট্রেনে যাত্রা
  • ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই আতঙ্কে অনেকেই 
     

 জ্বর নিয়েই ট্রেন যাত্রা আর টানা অফিস করলেন রাজ্য়ের আরেক করোনা আক্রান্ত। জানা গিয়েছে,তাঁর গতিবিধি নিয়ে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকরা। ওই প্রৌঢ়ের মাধ্যমে  আরও অনেকের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে না পারার কারণেই এই উদাসীনতা বলেই দাবি চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন, রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২

জানা গিয়েছে, হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা বছর ৫৯-এর প্রৌঢ়। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় তিনি চাকরি করতেন। গত ১৬ মার্চ প্রথম তাঁর জ্বর আসে এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও সর্দিও ছিল। এরপরই তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। ওষুধে জ্বর পুরোপুরি সেরেও যায়। জ্বর নিয়েও দুর্গাপুরে অফিসে একটানা যাওয়া শুরু করেন। ২০ মার্চ ফের জ্বর আসে তাঁর। এরপরই ওই পৌঢ়ের পরিবারের তাঁকে ভর্তি করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। উপসর্গে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়।

আরও পড়ুন, ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা

অপরদিকে , ওই প্রৌঢ়ের গতিবিধি প্রকাশ্যে আসার পরই প্রত্য়েকেরই চিন্তা বেড়েছে । কারণ লোকাল ট্রেনে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে এই প্রৌঢ়ের মাধ্যমে আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে তাঁর সহকর্মীরাও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আক্রান্তের স্ত্রীর কথায়, ট্রেন সফরেই কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির রিপোর্ট মেলার পর তাঁর ছেলে সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, একই দিনে রাজ্য়ে আক্রান্ত তিন, করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ২১