দিন কয়েক আগেই কলকাতায় ধরা পড়েছিল চার জেএমবি জঙ্গি।কলকাতার নাকের ডগায় উলুবেড়িয়ায় জঙ্গিঘাঁটির হদিশও পায় এসটিএফ। রাজাপুরের তেহট্টে জঙ্গিঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একাধিক ল্যাপটপ, সিডি, জেহাদের বই এবং নানা সামগ্রী।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। শুরু হয় ছানবিন। আর তাতেই উঠে আসছে অবিশ্বাস্য তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জাামাত উল মুজাহিদিন বর্ধমান মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের রিপোর্টেই ধরা পড়ছ আরও রহস্যজনক তথ্য। বলা হচ্ছে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে বহাল তবিয়তে চলছে জঙ্গি ট্রেনিং। এই ট্রেনিং স্কুলকেই কাজে লাগাচ্ছে জেএমবি।
দিন কয়েক আগেই কলকাতায় ধরা পড়া চার জঙ্গিকে জেরা করেই এমনই এক ঘাঁটির হদিশ পায় গোয়েন্দারা। ধৃতদের মধ্যে দুই জঙ্গি কলকাতা সংলগ্ন উলুবেড়িয়ায় ঘাঁটি গেড়ে থাকতে শুরু করেছিল। গ্রামাঞ্চলে তারা ফেরিওয়ালার পরিচয় দিয়েছিল। একজনের নাম হয়েছিল শেখ শমিম,আরেকজন শেখ আল আমিন নামে পরিচত ছিল। মাস খানেক আগে এক যুবক এসে তাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। ইদের পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে দেখেন এরা সকলে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। এই জেএমবি জঙ্গিরা নকল পরিচয়পত্র বানানোতেও সিদ্ধহস্ত বলে দাবি করে এসটিএফ-এর।
আরও পড়ুনঃ উলুবেড়িয়ায় জেএমবি জঙ্গিঘাঁটি! চাঞ্চল্যকর নথি গোয়েন্দাদের হাতে
কলকাতায় গ্রেফতার চার আইএস জঙ্গি, তিন বাংলাদেশির সঙ্গে ধৃত বীরভূমের বাসিন্দা
সেই সূত্র ধরেই এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যে রাজ্যকে সকর্ক করেছে কেন্দ্র। বড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্র এখন তা দেখার।