রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘূর্ণিঝড় যশ পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুক্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই, কেন্দ্রে থেকে রাজ্যকে এই আদেশ পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনিক মহল থেকে শাসক দলে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোস।
আরও পড়ুন, দিল্লিতে বদলি করা হল বাংলার মুখ্যসচিবকে, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' বলে দাবি তৃণমূলের
তৃণমূলের মুখপাত্র এপ্রসঙ্গে বলেছেন, 'প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। করোনা এবং যশ পরিস্থিতিতে এই বদলির নির্দেশের উদ্দেশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষতি করতে নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরও ক্ষতি করা।' তিনি আরও বলেছেন, আলাপনের আগামী ৩১ মে পর্যন্ত কার্যালয়ের মেয়াদ থাকলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সেটা ৩ মাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে সায়ও দিয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে হেরে রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্র।' অপরদিকে অধীর চৌধুরি বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতি এই সময়টা খুব এমারজেন্সি পিরিয়ড। এমন সময় মুখ্যসচিব তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন। সেই সময় এইভাবে উঠিয়ে নেওয়াটা একটু অবাক লাগল। এটার কি সত্যি দরকার ছিল বলে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। প্রতিহিংসা মানসিকতা সব মিলে এটা হচ্ছে। এটা কিন্তু আমাদের কারও জন্যই ভাল হচ্ছে না।
আরও পড়ুন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের হানা উত্তর দিনাজপুরে, কোভিড আক্রান্ত অবস্থাতেই মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাঠানো আদেশে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে, ৩১ মে সকালেই দিল্লিতে এসে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তাঁকে কর্মচারী ও প্রশিক্ষণ বিভাগে কার্যালয়ে রিপোর্ট করতে হবে। তবে নিয়ম অনুসারে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এখনও আটকে রাখার সুযোগ আছে রাজ্যের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তাঁকে মুখ্য সচিবের পদ থেকে ছেড়ে দিতে হবে। তারপরই তিনি দিল্লি ফিরতে পারবেন।