ফের শিরোণামে মমতার পুরোনো কেন্দ্র। ভবানীপুর আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিপক্ষে অধীর চৌধুরী। তবে বিষয়টি কংগ্রেসের হাইকমান্ডকে জানাননি। উল্লেখ্য ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই আসনে দাঁড়াতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, BJP-কংগ্রেসে বড় ভাঙ্গন, শনিবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠরাই যোগ দিলেন তৃণমূলে
ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চান না বলেও আগেও জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একইভাবে শনিবারও তিনি নিজের আগের সিদ্ধান্তের স্থির থাকলেন। তিনি বলেছেন, এআইসিসি নের্তৃত্বকে জানাইনি। এটা আমার ব্য়ক্তিগত মত। একজন তো মুখ্যমন্ত্রী হয়েই আছেন। কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও লড়াইয়ের ক্ষেত্র তো রয়েছেই। আমার এখনও একই মত।' তবে উল্টোধারা আলিমুদ্দিনে। অধীরের মতে শরিক নয় সিপিএম। রাজ্য কমিটির বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, নির্বাচনে যে যেখান থেকে লড়েছিল, উপনির্বাচনে সেখান থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন, 'বিধায়ক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দলের', শুক্রবার সাফ জানালেন মুকুল রায়
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ভবানীপুর আসনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রথমে ওমপ্রকাশ মিশ্র ছিলেন। পরে দীপা দাশমুন্সি প্রার্থী হন। ২০২১ সালে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হন যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান। কিন্তু আগের দাপট আর দেখাতে পারেনি সংযুক্ত মোর্চা। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের একুশের ভোটে প্রধান প্রতিদ্বন্দি ছিল বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে প্রথমবার সরে দাঁড়ানোর মূলে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর দল ত্যাগ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বরাবরের নিজের কেন্দ্র ছেড়ে বিজেপিতে শুভেন্দু যোগ দেওয়ায় সকলের নজর ছিল হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই। এদিকে ফল প্রকাশের বিকেলে জানা যায়, বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। তাই নন্দীগ্রামে কাটায় কাটায় তৃণমূলের হেরে যাওয়াটা ততটা স্থির ছিল না চর্চায়। বরং ভবানীপুরে শোভনদেব আসন ছাড়তেই পুরোনো রাজনৈতিক উষ্ণতাই বেড়ে উসকে গিয়েছে।